খোলা মতঃ হায়রে কিস্তি, বন্যা, দুর্যোগ, অভাব অনটনেও পিছ ছাড়ে না কিস্তি। দেশে মহাজনী কারবার বন্ধ হলেও কর্পোরেট পুজির মালিকদের সুদের ব্যবসা বন্ধ হয়নি। তাদের সেই ব্যবসা চলছে এনজিও নামের প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে।
তেমনি কয়েকটি এনজিও গ্রামীণ ব্যংক, ব্রাক, আশা, প্রশিকা, গন উন্নয়ন, টিএমএসএস ইত্যাদি। এই সব এনজিও থেকে ঋণ গ্রহণ করে তাদের কিস্তির টাকা পরিশোধ না করতে পেরে কত নারী যে তার জীবনের মহা মুল্য বান সম্পদ বিলিয়ে দিয়েছে তার ইয়াত্তা নেই। আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে অনেকে।
গ্রামীন নারিদের ভ্যাগ্য উন্নয়নে এরা সর্বাধিক চেষ্টা করে থাকে বললেও বাস্তবে তাদের ভাগ্য কতটুক পরিবর্তন হয়েছে তাহা জানিনা কিন্ত ইউনুছ আবেদ শফিকুল ইসলামসহ অন্যদের ভ্যগ্য যে অনেক পরিবর্তন হয়েছে তাহা বলার অপেক্ষা রাখে না।
এনজিও গ্রামীণ ব্যাংকের ঋণের কিস্তির টাকার চাপেই ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পদ্মকর ইউনিয়নের লৌহজং, হাট গোপালপুরের রমেশের মা বলে পরিচিত মায়ারানী(৬০) অবশেষে আত্মহত্যার পথ বেছে নিল।
এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে যে কিছু দিন আগে রমেশের বউ ২ সন্তান রেখে অন্য পুরুষের হাত ধরে রমেশ কে ছেড়ে চলে গেছে। এখন রমেশ আর কাজ করে না । রমেশের মা পরের বাড়ীতে কাজ করে খেত কিন্ত ছেলের বউ চলে যাওয়ার পর ছেলের কাজ না থাকায় রমেশের মা মায়ারানি গ্রামীন ব্যাংক থেকে নেওয়া ঋণের টাকার আর কিস্ত দিতে পারছিল না। অন্যদিকে তার এই দুরদিনেও কিস্তির জন্য চাপ দিতে থাকে গ্রামীণ ব্যাংকের লোক জন মায়ারানীর উপর। কিস্তি পরিশোধে কোন উপায় না পেয়ে অবশেষে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় মায়ারানী।