নিজস্ব প্রতিনিধি : হটাৎ রাজশাহী মহানগরীসহ গোটা জেলায় চরম লোডশেডিংয়ে বিপাকে পড়েছেন মানুষ। গত তিন-চার দিন ধরে বিদ্যুতের চরম বিপর্যয় নেমে এসেছে। বিশেষ করে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে বিদ্যুতের চরম বিপর্যয় নেমে আসে নগরীতে।
হঠাৎ করে বিদ্যুতের এমন সঙ্কটে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। বিশেষ করে তীব্র গরমে যেন হাসফাঁস করতে হচ্ছে মানুষকে। কিন্তু একবার বিদ্যুৎ গেলে এক ঘন্টার আগে তার আর দেখা মিলছে না।
রাজশাহী নগরীর শিরোইল এলাকার বাসিন্দা আমির খসরু জানাই , মঙ্গলবার সকাল সাতটার পরপরই বিদ্যুৎ চলে যায়। এর পর দেখা মেলে সকাল ১০টার দিকে। তার পর ১২টার দিকে আবার বিদ্যুৎ হাওয়া শেষ পর্যন্ত আসে দুপুর আড়াইটার দিকে। আগেরদিন রাতেও কয়েক দফা বিদ্যুৎ ছিল না। আর দিনের বেলায়ও ছিল একই অবস্থা। সবমিলিয়ে এখন গড়ে দিনের অর্ধেক সময়ও বিদ্যুৎ মিলছে না। এতে করে গরমে চরম কষ্টের মধ্যে দিন পার করতে হচ্ছে। বিশেষ করে রাতে শোবার সময় বিদ্যুৎ না থাকায় ভোগান্তিটা বেশি পোহাতে হচ্ছে।’
তিনি আরো জানান, রাতে ১১ টার পর থেকে রাত দুইটা পর্যন্ত অন্তত চার বার লোডসেডিং দেখা দেয়। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ২০ মিনিট বিদ্যুতের দেখা মেলে। আর বাকি সময়টা ছিল অন্ধকারে।
মঙ্গলবার সকাল থেকে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় লোডশের্ডি দেখা দেয়। সকাল থেকে নগরীর দড়িখরবোনা এলাকায় কয়েকবার বিদ্যুতের লোডশেডিং দেখা দেয়। এছাড়াও বিদ্যুৎ একবার লোডশেডিং হলে প্রায় আধা ঘন্টা থেকে এক ঘন্টার মত থাকছে।
অন্যদিক, বিদ্যুৎ না থাকায় অধিকাংশ সময় বন্ধ রাখতে হচ্ছে রাজশাহীর কল-কারখানাসহ দোকান-পাটও। বিশেষ করে ইলেক্ট্রোনিক্স নির্ভর দোকান-গুলো নিয়ে চরম বিপাকে পড়ছেন ব্যবসায়ীরা। যেন ঠিকমতো খুলতেই পারছেন না কেউ কেউ। এই অবস্থায় কেনাকাটায়ও নেমেছে ধস।
বিদ্যুতের এমন লোডশেডিংয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে রাজশাহী বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-৪ এর নির্বাহী প্রকৌশলী নাসরিন ইয়াসমিন বলেন, লোডশেডিং হচ্ছে। জাতীয় গ্রীড থেকেই বিদ্যুৎ কম পাওয়া যাচ্ছে। চাহিদার প্রায় অর্ধেক বিদ্যুৎ মিলছে।
তিনি আরো জানান, নগরীতে প্রায় ১৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে। তবে বিদ্যুৎ মিলছে বড় জোর ৮০ মেগাওয়াটের মতো। বাকিটা না পাওয়ায় লোডশেডিং হচ্ছে।
এদিকে জেলাতে বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে প্রায় ১০০ মেগাওয়াট। সেখানেও মিলছে চাহিদার অর্ধেকেরও কম। ফলে নগরীর চাইতে জেলার অবস্থা আরো বেশি ভয়াবহ বলে দাবি করেছেন পল্লী বিদ্যুতের একাধিক কর্মকর্তা।