আভা ডেস্কঃ দেশে স্বেচ্ছাসেবা ত্বরান্বিত করতে একটি জাতীয় টাস্কফোর্স গঠনের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, কোভিড-১৯ দেশে ছড়িয়ে পড়ার পর স্বেচ্ছাসেবীরা ফার্স্ট রেসপন্ডার হয়ে কাজ করলেও, তা ছিলো তাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ ও ঝুঁকির। আর কাজে ছিলো সমন্বয়হীনতা। একটি জাতীয় কর্মকাঠামো থাকলে কাজগুলো আরও সমন্বিত হতে পারতো এবং অপেক্ষাকৃত বেশি সুফল বয়ে আনতো।
বৃহস্পতিবার (২৩ জুলাই) রাতে এক অনলাইন আলোচনায় অংশ নিয়ে বক্তারা এমন মত দেন। ইউএন ভলান্টিয়ার্স বাংলাদেশ ও অপরাজেয় বাংলা যৌথভাবে এই অনলাইন আলোচনার আয়োজন করে।
স্বেচ্ছাসেবার শক্তির যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করার ওপর জোর দিয়ে এজন্য সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগগুলোর সমন্বয় প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাবেক উপাচার্য, বর্তমানে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। স্বেচ্ছাসেবাকে মূলধারায় আনতে শিক্ষা ব্যবস্থা ও শিক্ষা পাঠক্রমে এর অন্তর্ভুক্তির কথা বলেন এই শিক্ষাবিদ।
তিনি বলেন, বাঙালির রক্তেই রয়েছে স্বেচ্ছাসেবার অনুপ্রেরণা। তবে এর সুফল পেতে হলে পদ্ধতিটির কাঠামোবদ্ধ রূপ দেওয়া জরুরি।
মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম বলেন, আমাদের তারুণ্যের মধ্যে স্বেচ্ছাসেবায় উদ্দীপনার ঘাটতি নেই। তবে স্বেচ্ছাসেবীদের সামনে সুনির্দিষ্ট গাইডলাইন নেই।
ইউএন ভলান্টিয়ার্স বাংলাদেশ এর কান্ট্রি কো-অর্ডিনেটর মো. আখতার উদ্দিন বলেন, স্বেচ্ছাসেবার সুসমন্বয়ে একটি জাতীয় টাস্কফোর্স গঠন করতে হবে। এছাড়ও একটি জাতীয় স্বেচ্ছাসেবা কর্মকাঠামো গড়ে তোলার কথা বলেন তিনি।
আলোচনায় আরও অংশ নেন ইকো সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন- ইএসডিও’র প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক ড. শহীদ-উজ জামান এবং অভিনয় শিল্পী ও আমরা মানুষ’র প্রেসিডেন্ট শামীমা তুষ্টি। সঞ্চালনা করেন অপরাজেয় বাংলার পক্ষ থেকে সাংবাদিক ও শিক্ষক মাহমুদ মেনন।