আভা ডেস্কঃ চট্টগ্রামের পাহাড়তলীতে স্থানীয় কাউন্সিলরের বাসা থেকে তার পুত্রবধূর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় ছেলে নওশাদ আমিনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার রাতে মামলার পর তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাহাড়তলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান।
তিনি বলেন, ‘বাসা থেকে স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুপুরেই নওশাদকে হেফাজতে নেয়া হয়। রাতে নিহতের বাবা বাদী হয়ে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে মেয়ের স্বামী ও শাশুড়িকে আসামি করে মামলা করলে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।’
এর আগে শনিবার সকালে পাহাড়তলী থানার মধ্যম সরাইপাড়ার নিজ বাসা থেকে কাউন্সিলর নুরুল আমিনের পুত্রবধূর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত ২২ বছর বয়সী রেহনুমা ফেরদৌস সরাইপাড়া ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নুরুল আমিনের ছেলে নওশাদ আমিনের স্ত্রী। রেহনুমার বাবা তারেক ইমতিয়াজ ইমতু আলকরন ওয়ার্ড আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি। নওশাদ রেহনুমা দম্পতির আড়াই বছর বয়সী একটি কন্যাসন্তান রয়েছে।
ওসি মোস্তাফিজুর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ‘আমরা সকালে বাসার খাটে মরদেহটি পেয়েছি। রেহনুমার গলায় ওড়না প্যাঁচানো ছিল, তবে শরীরের কোথাও কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। শ্বশুরবাড়ির লোকজনের দাবি, তিনি আত্মহত্যা করেছেন।
‘তবে ঘটনাটিকে পরিকল্পিত হত্যা বলে দাবি করেছেন রেহনুমার পরিবার।’
রেহনুমার বাবা তারেক বলেন, ‘বিয়ের পর থেকে যৌতুকসহ বিভিন্ন কারণে তারা আমার মেয়েকে মানসিক নির্যাতন করত। কয়েকবার পারিবারিকভাবে বৈঠক করে এর সমাধানের চেষ্টা করেছি আমরা।
‘এমনকি গত ঈদের তিন দিন পর সর্বশেষ বৈঠক করেন সাবেক সিটি মেয়র নাছির ভাই। তার পরও তারা আমার মেয়েকে নির্যাতন করত।’