মতিহার প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর মতিহার থানা এলাকায় এক আতংকের নাম হানিফ। সে নিজেকে পুলিশের সোর্স পরিচয়ে দাপিয়ে বেড়ায় থানা এলাকার সর্বত্র। মতিহার থানা এলাকা মাদকের ড্যান্ডিক্ষ্যাত নামে পরিচিত মিজানের মোড়, ডাশমারী, জাহাজঘাট মোড়। এই এলাকায় যেমন মাদকের আতুরঘর তেমনি অপরাধীদের নিরাপদ স্থান। আর এই সকল অপরাধীদের নিকট পুলিশ এক আত্নংক। আর পুলিশের সোর্স হলে তো কথায় নাই। সোর্স পরিচয়ে প্রতিটি স্পট থেকে মাসিক চাঁদা তোলা থেকে শুরু করে নিরিহ সাধারন মানুষকে হয়রানি করছে হানিফ। হানিফ মতিহার থানার ২৯ নং ওয়ার্ডের ডাঁশমারী উত্তরপাড়া এলাকার মৃতঃ জমির উদ্দিনের ছেলে।
এলাকাবাসী অভিযোগ, হানিফের বিরুদ্ধে মুখ খুললে হয়রানির শেষ থাকে না। এলাকায় তিনি নিজেকে ঘাতক দালাল নির্মল কমিটির সভাপতিও পরিচয় দেন। এই সব পরিচয়ে চাঁদা নিতে নিতে এখন তার শিকার হচ্ছেন মসজিদের ইমামও। মতিহার থানা পুলিশের কিছু পুলিশ সদস্যের নামেও সে এলাকায় চাঁদাও তোলেন, যদিও সেই সকল পুলিশ সদস্য তা জানে না। সে পুলিশের কোন সোর্স নয়, দুই একজন পুলিশ সদস্যের সঙ্গে তার পরিচয় আছে। পরিচিত পুলিশের নাম ভাঙ্গিয়ে মাদক ব্যবসায়ীর নিকট চাঁদা গ্রহন, মাসিক মাসোহারা উত্তোলন করা নিত্যনৈমিত্ত্য ব্যপার এখন হানিফের। গড়ে তুলেছেন ভন্ড বাবা গাঁজা ইন্দার আসর। মাসিক মাসোহায়া নেওয়া সহ এলাকায় চাঁদাবাজির জন্য এ বছর ৬ এপ্রিল রাজশাহী সহ স্থানীয় জাতীয় দৈনিক ও অনলাইন পত্রিকায় হানিফের নামে “চাঁদাবাজির দাবিতে দুই নারীকে নির্যাতন শিরোনামে” সংবাদ প্রকাশ হয়। সে সময় তার বিরুদ্ধে মতিহার থানায় একটি মামলাও হয়।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, কিছু অসাধু পুলিশ সদস্যের আশ্রয়ে এসব অপরাধী বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। এখনই লাগাম না টানলে তারা আরও ভয়ংকর হয়ে উঠবে। চোর তালিকায় থাকা কালাম, টাইগার সোহেল, শাকিল, লালন, সহ আরও কিছু অপরাধীকে আশ্রয় প্রশয় দেন হানিফ। মাদক ব্যবসায়ী আবু কালামের ছেলে শরিফুল, কালুর ছেলে এরশাদ, রফিক কানা, ইলিয়াস, গঙদের নিকট মাসিক নিয়ে তাদের ব্যবসায় সহায়তা করেন বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ। অপরদিকে এই সকল অপরাধের বিষয়ে এলাকাবাসী মুখ খুললে তাদের মাদক দিয়ে ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকিও দেন হানিফ।
জানতে চাইলে মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি ) সিদ্দিকুর রহমান বলেন ,হানিফ নামে আমাদের কোন পুলিশের সোর্স নেই । সোর্স পরিচয় দিয়ে কেউ চাঁদাবাজি করলে , তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কারো নিকট এমন কোন তথ্য থাকলে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে জানালে তাকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে বলেও জানান এই সুনামধন্য পুলিশ কর্মকর্তা ।
এ বিষয়ে পুলিশের সোর্স হানিফের সঙ্গে কথা বলতে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন এই সব অনলাইন পত্রিকায় নিউজ করে আমার কিছুই করতে পারবেন না । খেলার শখ থাকলে মাঠে নামেন দেখবো কার কত জোর আছে। উগ্র কণ্ঠে গালাগালি ও চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে ফোন কেটে দেন।