ava desk : ২০১৭ সালে বলেছিলেন, কোনো শাস্তি ছাড়াই একজন পুরুষ চাইলেই তিনজন নারীকে ধর্ষণ করতে পারে। আর ২০১৮ সালে বললেন, শহরের নারীরা সুন্দরী বলেই ধর্ষণ হয়। দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর দাভাওয়ে আশঙ্কাজনক হারে ধর্ষণের ঘটনা বৃদ্ধি নিয়ে বৃহস্পতিবার জনসম্মুখে এ মন্তব্য করেন ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতের্তে।
নিজ শহরে ধর্ষণ বেড়ে যাওয়া নিয়ে নতুন এ ঠাট্টায় আবারও সমালোচনায় পড়েছেন দুতের্তে। বরাবরের মতো এবারও তাকে জেঁকে ধরেছে দেশটির নারী অধিকার সংগঠনগুলো। প্রেসিডেন্টের এমন মন্তব্যে ক্ষুব্ধ হয় ফিলিপাইনের নারী অধিকার সংগঠনগুলো।
দেশটির নারী অধিকার নেত্রী এলিজাবেথ আঙ্গসিকো বলেন, প্রেসিডেন্টের এ বক্তব্যে মনে হয় ধর্ষণ যেন কোনো স্বাভাবিক ঘটনা। এর ফলে নারীর মর্যাদা আরও হুমকির মুখে পড়ল। শুক্রবার আলজাজিরাকে তিনি বলেন, এমন মন্তব্য কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। কারও কাছ থেকে বিশেষ করে দেশের শীর্ষপর্যায় থেকে এমন মন্তব্য কোনোভাবে আশা করা যায় না।
এলিজাবেথ আঙ্গসিকো আরও বলেন, তার মন্তব্যে এটাও প্রকাশ পেয়েছে যে, সুন্দরী নারীরাই শুধু ধর্ষণের শিকার হন। তার মানে নারীরা সুন্দর বলেই তাদের ধর্ষণ করা যাবে। তার কাছে যেন এটা স্বাভাবিক ঘটনা।
তিনি বলেন, গত কয়েক দশক ধরে ফিলিপিনো নারীবাদী কর্মীরা এখানকার নারী অধিকার নিয়ে কাজ করছেন। সেই সঙ্গে এজন্য সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন ও আইনি পদক্ষেপ নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। এর ফলে আমাদের কিছু সাফল্যও এসেছে। কিন্তু দুতের্তের এমন মন্তব্য আমাদের সব অর্জনকে বিনষ্ট করে দিয়েছে। সেই সঙ্গে আমাদের আরও অন্ধকার যুগে ঠেলে দিয়েছে।
প্রসঙ্গত, দুতের্তে এর আগেও নারীদের কটাক্ষ ও ধর্ষণ নিয়ে ঠাট্টা-মশকরা করে গেছেন। ২০১৭ সালের জুলাই মাসে তিনি মন্তব্য করেছিলেন, মিস ইউনিভার্সকে ধর্ষণ করা তিনি গ্রহণযোগ্য মনে করেন।
jugantor