নিজস্ব প্রতিনিধি : সংবাদ প্রকাশের জের ধরে রাজশাহীতে হামলা-পাল্টা হামলায় একজন গুলিবিদ্ধসহ মোট ছয়জন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পযন্ত এ ঘটনা ঘটে। আহতদের উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে একজনকে গরম পানি ঢেলে শরীর ঝলসে দেওয়া হয়েছে। আর একজন গুলিব্ধি রয়েছেন। এ ঘটনায় মোট ছয়জনকে আটক করা হয়।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, নগরীর সপুরা স্টেডিয়াম মার্কেটে জুয়া খেলার সংবাদ প্রকাশ করাকে কেন্দ্র করে সকালে নগরীর সপুরা এলাকায় মোয়াজ্জেম হোসেন লিটন (৩২) নামের এক যুবককে নির্যাতনের পর শরীরে গরম পানি ঢেলে ঝলসে দেওয়া হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা আরো জানায়,দুপুর পৌনে একটার দিকে তারেকের ভাই সবুজ দলবল নিয়ে সাংবাদিক মিলন এবং তার সহযোগীদের মারতে নগরীর রানী বাজারে যান। এসময় উভয়পক্ষের মধ্যে মারপিটের ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে সবুজ পালাতে গেলে তাকে ধাওয়া দেন মিলনের লোকজন। তারা সবুজকে ধরে ফেললে তার কাছে থাকা পিস্তল দিয়ে তিন রাউন্ড গুলি ছুড়েন। এতে একটি গুলি মিলনের ভাগ্নে অন্তরের পেটের নিচে লাগলে সে গুরুতর আহত হন। এছাড়া রাস্তায় পড়ে গিয়ে মিলনের সহযোগী তুষার নামের আরেকজন আহত হোন।
তাদের সবাইকে রামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ এসে পিস্তলসহ সবুজকে (২৮) আটক করে থানায় নিয়ে যান।
এর আগে গরম পানিতে আহত লিটনও রামেক হাসপাতালের ভর্তি রয়েছেন। আহত লিটন নগরীর সপুরা এলাকার এলাহী বক্সের ছেলে মোয়াজেম হোসেন লিটন (৩২)।
আহত লিটন জানায়, নিয়মিত জুয়ার বোর্ড চলে স্টেশন এলাকায়। রাজশাহীর একটি অনলাইনে সংবাদ প্রকাশের সহযোগিতায় করেন তিনি। সকালে বাড়ি থেকে সপুরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের সামনে ডেকে নিয়ে যায় বাবু নামের এক যুবক। এসময় তাকে রাজু, রিপন, বাবু ও তারেক মিলে মারধর করে। এর এক পর্যায়ে চায়ের দোকানের গরম পানি ছুড়ে মারে তারেক। ওই জুয়ার বোর্ড চলে তারেকের নেতৃত্বে।
বোয়ালিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আমানউল্লাহ বলেন, হামলা-পাল্টা হামলায় মোট ছয়জন আহত হয়েছে। এছাড়াও ছয়জনকে আটক করা হয়েছে। এর মধ্যে একজনকে অস্ত্রসহ আটক করা হয়েছে। তার নিকট থেকে একটি পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছে।