মোঃ সাগর হোসেন,বেনাপোল প্রতিনিধিঃ অব্যবস্থাপনার মধ্যে দিয়ে চলছে বেনাপোল বাজার। রাষ্ট্রের গুরুত্বপুর্ন প্রবেশদ্বার বেনাপোল।এই পথে ভারত থেকে পাসপোর্টযাত্রীসহ আমদানি বানিজ্যের গাড়ির সাথে আসে ভারতীয় নাগরিক। সারা বিশ্বে যখন করোনা আতঙ্কে মানুষ ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছে, সেখানে বেনাপোল সীমান্তের লোক সবকিছু উপেক্ষা করে লোক সমাগম ঘটিয়ে ঘটা করে বিয়ে বাড়ির বাজার এর মত ছুটছে বাজার করতে। সকাল থেকে বেলা দ্ইুটা পর্যন্ত চলে একটানা লোক সমাগম ঘটিয়ে কেনা কাটা। যেখানে নেই কোন তদারকি।
বেনাপোল বাজারে একটি কমিটি থাকা সত্বেও তাদের ও নেই কোন নিয়ন্ত্রন। প্রথম দিকে বেনাপোল বাজার কমিটি,পোর্ট থানা ও উপজেলা প্রশাসন তদারকি করলে কিছুটা নিয়ন্ত্রনে ছিল। কিন্তু বর্তমানে দেশে করোনা রোগি সনাক্ত রোগির সংখ্যা বাড়লেও বাজার নিয়ন্ত্রন নেই। বেনাপোল বাজারের মাছ বাজার, কাঁচা বাজার, মাংস বাজারে মানা হচ্ছে না সরকার ঘোষিত সামাজিক দুরত্ব। হুড়ো হুড়ি করে বাজার করছে ভোক্তারা।
বেনাপোল বাজারের ব্যবসায়ি বলেন বেনাপোল বাজার সামাজিক দুরত্বের নিয়ন্ত্রনের বাইরে চলে গেছে। মানছে না কেউ সরকারি নির্দেশনা। পৌরসভা কয়েক দফা মাইকিং করে সতর্ক করলেও কে কার কথা শোনে। তিনি বলেন সম্প্রতি বেনাপোলে পুলিশ , স্বাস্থ্য কর্মী, ফার্মেসী দোকানদার সহ কয়েকজন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হলেও সাধারন মানুষের মধ্যে কোন উদ্যেগ উৎকন্ঠা নেই। তারা সাধারন ভাবে করছে চলাফেরা।
বেনাপোল বাজারের সভাপতি আজিজুর রহমান বলেন, আমরা বার বার বাজার এর দোকানদার এবং মাইকিং করে সাধারন মানুষকে সতর্ক করার চেষ্টা করলেও তারা মানছে না আমাদের এই উপদেশ। আমাদের নিষেধ উপেক্ষা করে চালিয়ে যাচ্ছে তাদের ব্যাবসা বানিজ্য।
এদিকে রাষ্ট্রের এই গুরুত্বপুর্ন প্রবেশদ্বার দিয়ে প্রতিদিন দেশী বিদেশী পর্যটক আসলেও মানুষের মাঝে নেই কোন আতঙ্ক। এরা ভারত থেকে করোনা ভাইরাস এর অদৃশ্য জীবানু নিয়ে কেউ কেউ দেশে প্রবেশ করছে বলেও অনেকে মন্তব্য করছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও উপজেলা প্রশাসনকে বর্তমানে নিরব দেখা যাচ্ছে বলে একটি নির্ভরযোগ্য সুত্র দাবি করে।
সম্প্রতি বেনাপোলে কয়েকজন করোনা পজেটিভ রিপোর্টে সনাক্ত হলেও তেমন কোন ভুমিকা নেই প্রশানের। পত্র পত্রিকায় রিপোর্ট হলে উপজেলা প্রশাসন ও বেনাপোল পৌর প্রশাসন বেনাপোল এর ২ নং ওয়ার্ড লকডাউন করে দেয়। কিন্তু অত্যান্ত দুঃখের বিষয় সকালে লকডাউন করলেও বিকালে লকডাউন দেওয়া বাঁশের নিচে দিয়ে বাজারে ওই রোডের বাসিন্দাদের প্রবেশ করতে দেখা যায়।
এছাড়া বেনাপোল বাজার ব্যাবসায়িদের নেই পন্য বিক্রির চার্ট। তারা ইচ্ছা মত খামখেয়ালী ভাবে পন্য বিক্রি করছে চড়া দামে। দিঘির পাড় গ্রামের সোহাগ হোসেন বলেন, বেনাপোল বাজারের ব্যাবসায়িরা ইচ্ছামত লোকসমাগম ঘটিয়ে পন্য চড়া দামে বিক্রি করছে। বড়আঁচাড়া গ্রামের জিএম আশরাফ বলেন আমি বেনাপোল বাজারের কাচাপন্য বিক্রেতা মুজিবুর রহমানের দোকানে পন্য কিনতে গেলে সে বলে এককেজি ৩৫ টাকা হাফ কেজি ২০ টাকা। সে প্রতিজন ভোক্তার নিকট থেকে হাফ কেজিতে ৫ টাকা বেশী নিচ্ছে। তার দোকানেও নেই কোন পন্য চার্ট।
বেনাপোল পোর্ট থানার এএস আই আলমগীর হোসেন বলেন,আপনারা বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানান। তিনি যে নির্দেশনা দেয় সেই মোতাবেক পুলিশ কাজ করবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার পুলক কুমার মন্ডল বলেন, আমরা শার্শা উপজেলায় যেখানে সমস্যা সেখানে বিষয়টি গভীর ভাবে দেখছি। তারপর জনগনকেও সচেতন হতে হবে। সবাইকে দুরত্ব বজায় রেখে সরকারী নির্দেশনা মেনে চলতে হবে।