রাফির হত্যাকান্ড নিয়ে রাবিতে মানববন্ধন।

আভা ডেস্কঃ মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যাকাণ্ডসহ দেশব্যাপি সংঘটিত নির্যাতন, ধর্ষণের সুষ্ঠু নিরপেক্ষ তদন্ত ও প্রকৃত অপরাধীদের বিচারের দাবিতে স্বারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। এর আগে একই দাবিতে আজ বুধবার (১৭ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টায় রাজশাহী নগরীর সাহেববাজার জিরোপয়েন্টে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।

রাজশাহীর তরুণ সংগঠন ইয়ুথ এ্যাকশন ফর সোস্যাল চেঞ্জ-ইয়্যাস ও জাগরণের আহবান যৌথভাবে এ কর্মসূচির আয়োজন করে। সংগঠনের নেতৃবৃন্দ রাজশাহীর জেলা প্রশাসক এসএম আব্দুল কাদেরের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্মারকলিপি প্রদান করেন।

তরুণ সংগঠন ইয়ুথ এ্যাকশন ফর সোস্যাল চেঞ্জ-ইয়্যাসের সভাপতি শামীউল আলীম শাওনের সভাপতিত্বে মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন, সেক্টর কমান্ডার ফোরাম রাজশাহী মহানগর কমিটির সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান আলী বরজাহান, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ রাজশাহী জেলা কমিটির সভাপতি নারী নেত্রী কল্পনা রায়, রাজশাহী প্রেসক্লাবের সভাপতি সাইদুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আসলাম উদ দৌলা, জাতীয় আদিবাসী পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি নকুল পাহান, দপ্তর সম্পাদক আদিবাসী নেতা সুভাষ চন্দ্র হেমব্রম, এলিজ্যাবল ইয়ুথ ফর ইভোলিউশন-আই’র সভাপতি গোলাম নবী রনি, ইয়্যাস সাধারণ সম্পাদক তরুণ সমাজ সেবক নাজমুল ইসলাম আকাশ প্রমুখ।

সভায় বক্তব্য প্রদানকালে বক্তারা বলেন, রাজশাহী জেলাতেই ২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ১৪ মাসে ১৭৭টি নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে হত্যা ১২টি, হত্যার চেষ্টা ২৬টি, রহস্যজনক মৃত্যু ৫টি, ধর্ষণ ১৩টি, ধর্ষণের চেষ্টা ৪টি, আত্মহত্যা ২৮টি, আত্মহত্যার চেষ্টা ৮টি, অপহরণ ৫টি, যৌন হয়রানি ৮টি, নিখোঁজ ২টি এবং অন্যান্য ঘটনা ঘটে ৬৬টি রয়েছে বলেও বক্তারা উল্লেখ করেন।

তারা বলেন, দেশে বর্তমানে নারী নির্যাতনের ঘটনাগুলোর মধ্যে নারীরা নিজের গৃহে কিংবা পরিচিতজনদের কাছ থেকেই বেশি নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। এছাড়া বাল্যবিবাহ, যৌতুক, এসিড সন্ত্রাস, কর্মক্ষেত্রে হয়রানি ও সুরক্ষার অভাব নারীদের এগিয়ে যাওয়ার পথকে আটকে দিচ্ছে। নির্যাতিত নারীদের অধিকাংশই তাদের অভিযোগ বিচারকের কান পর্যন্ত পৌঁছতে পারেন না।

স্মারকলিপিতে প্রদানকৃত তিনটি দাবি হলো- হত্যার পরিকল্পনাকারী সহ মূল অপরাধী ও সহযোগিদের ফাঁসির সাজা প্রদান ও ফাঁসি কার্যকর, সোনাগাজী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোয়াজ্জেম এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা, নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে পৃথক ও কার্যকর বিশেষ সেল এবং বিশেষ ট্রাইবুনাল গঠন করা।

Next Post

ঘুস না দেওয়ায় বিদ্যুৎ সংযোগ জোটেনি দিন মজুর কৃষকের।

বুধ এপ্রিল ১৭ , ২০১৯
আভা ডেস্কঃ বিদ্যুৎ সংযোগ নিতে ঘুষের চাহিদা ছিলো ১০/১৫ হাজার টাকা মাত্র! মতিন মিয়া সেই সময় চার হাজার টাকা দিয়েও ছিলেন। কিন্তু বাকি টাকা পরিশোধ না করায় বিদ্যুৎ সংযোগ জোটেনি তার কপালে। তবে বিদ্যুৎ না পেলেও বকেয়া বিলের মামলায় দিনমজুর মতিনকে ঠিকই যেতে হলো কারাগারে। কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের […]

এই রকম আরও খবর

Chief Editor

Johny Watshon

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore magna aliqua. Ut enim ad minim veniam, quis nostrud exercitation ullamco laboris nisi ut aliquip ex ea commodo consequat. Duis aute irure dolor in reprehenderit in voluptate velit esse cillum dolore eu fugiat nulla pariatur

Quick Links