রাজশাহী সিটি হাটে এবারের কুরবানিতে গরুর চেয়ে মহিষ বেশি।

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীর বৃহত্তম পশুর হাট সিটি হাট। রাজশাহী অঞ্চলের বিভিন্ন জেলার ক্রেতা-বিক্রেতাদের সমাগত ঘটে প্রতি হাটেই। যদিও হাটটি রোববার ও বুধবার। আসন্ন কোরবানি ঈদ উপলক্ষে জমতে শুরু করেছে বৃহত্তম এই হাটটি।

হাটে উঠতে শুরু করেছে গরু-মহিষ। তবে হাটে দেশি ও ভারতীয় গরুর চেয়ে মহিষের উপস্থিত বেশি লক্ষ্য করা গেছে। তবে দেশি জাতের গরুর চেয়ে ভারতীয় গরু বেশি দেখা গেছে। সিটি হাটের ইজারাদার মো. ডাবলু বলেন, হাটে ভারতীয় গরুর চেয়ে দেশি গরু বেশি। হাটে যে গরুগুলো আছে সেগুলো বিভিন্ন কৃষকের গৃহপালিত। তারা তিন- চার মাস আগে কিনে বাড়িতে পুষেছেন। তাছাড়া ভারত থেকে ৫০টি মহিষ আসলে, গরু আসছে ১০টি। তবে মহিষের তুলনায় গরু কম আসছে।

অন্যদিক দেশি ও ভারতীয় গরু কম হলেও মহিষের দাম সেই তুলনায় কম। তবে বিক্রেতারা বলছে, গরু- মহিষের পাইকার ক্রেতাই বেশি। কোরবানি দেয়া ক্রেতারা হাটে তেমন আসতে শুরু করেনি।

বুধবার দুপুরে পশুহাট ঘুরে দেখা গেছে, ভারতীয় সিন্ধু, আন্ধা, নেপালি, বল্ডার জাতের গরু। দেশি জাতের গরু তুলনায় অনেকটাই কম এমনটি বলছেন ক্রেতা-বিক্রেতারা। তবে হাটের কর্মীরা বলছেন, কোরবানি এগিয়ে আসলে দেশি গরুর উপস্থিতি বাড়বে হাটে। তবে লক্ষ্য করা গেছে, হাটের দক্ষিণ দিকে দেশি জাতের বাছুর (ছোট) গরু কেনা-বেচা হচ্ছে। এছাড়া হাটের রাস্তার দুই পাশে দেশি জাতের গরু কেনা-বেচা করতে দেখা গেছে।

গরু ব্যবসায়ী সাগর বলেন, হাটে ভারতীয় ২০টি আন্ধা জাতের গরু নিয়ে এসেছেন। প্রতিটির দাম দুই লাখ ২০ থেকে ২ লাখ ২৫ হাজার টাকা চাচ্ছেন। সেই গরুর মাংস নয় থেকে ১০ মণ হবে। হাটে সেই তুলনায় গরু ক্রেতা কম। তবে আগামী হাটগুলোতে ক্রেতা আরো বাড়তে পারে।

তিনি জানান, প্রথম হাটে ৪২টি ভারতীয় আন্ধা জাতের গরু বিক্রির জন্য নিয়ে আসেন। দ্বিতীয় হাটে ১৮টি, তৃতীয় হাটে ৪৫টি ও গতকাল বুধবারের হাটে ২০টি গরু নিয়ে আসেন। এর মধ্যে কয়েকটি বিক্রি হয়েছে। তিনি আশা করছেন বাকি গরুও বিক্রি হয়ে যাবে।

ব্যবসায়ী মহাব্বত জানান, তিনি হাটে নেপালি সাতটি গরু নিয়ে এসেছেন। দুপুর হয়ে গেছে তাদের একটিও বিক্রি হয়নি। প্রতি জোড়া তিন লাখ ২০ হাজার টাকা চাচ্ছেন। ক্রেতারা তেমন দাম বলছে না। দেশি জাতের এক জোড়া গরু নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন আসলাম নামের এক ব্যক্তি। তিনি বলেন, হাটে দেশি জাতের গরু তেমন নেই। দুপরের পরে আরো আসবে। বেশির ভাগ ক্রেতা দেশি গরু কিনছেন।

তিনি আরো বলেন, যারা রাজশাহীর হাট থেকে গরু কিনে বাইরের হাটে ব্যবসা করবে তারা বড় বড় গরুগুলো বেশি কিনছেন। তবে ভালো গরু হিসেবে দেশিই সেরা।

মহিষ ব্যবসায়ী পিয়ারুল বলেন, মহিষের মাংস ১৮ থেকে ২০ হাজার টাকা মণে কিনছেন ক্রেতারা। ভারতীয় গরু-মহিষ দেশে আসলে মাংসের দাম কমবে। ভারতীয় গরু-মহিষ না আসলে গরুর মাংস হাজার টাকা কেজি পড়বে এই কোরবানিতে। তার জানা মতে ভারতীয় গরু তেমন আসছে না। দেশেই অনেক গরু আছে। আসন্ন কোরবানির আগে আরো দেশি জাতের গরু হাটে উঠবে।

Next Post

ভারতে বাংলাদেশী বাঙ্গালীদের হয়রানি করছে পুলিশ।

বৃহস্পতি আগস্ট ৯ , ২০১৮
আভা ডেস্ক: বাংলাদেশি সন্দেহে দিল্লি ও লাগোয়া এলাকায় বাঙালিদের হয়রানি করছে পুলিশ। কাজের খোঁজে ভিনরাজ্যে গিয়ে হেনস্থা হতে হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের বাঙালিদের। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী রাজনাথ সিংকে চিঠি দিয়ে এমনটাই অভিযোগ করলেন সাংসদ তথা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। এব্যাপারে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন তিনি। অধীরের অভিযোগ, দিল্লি ও লাগোয়া […]

এই রকম আরও খবর

Chief Editor

Johny Watshon

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore magna aliqua. Ut enim ad minim veniam, quis nostrud exercitation ullamco laboris nisi ut aliquip ex ea commodo consequat. Duis aute irure dolor in reprehenderit in voluptate velit esse cillum dolore eu fugiat nulla pariatur

Quick Links