নিজস্ব প্রতিনিধিঃ রাজশাহীতে একদিনে ৪ জন মেডিকেল কর্মচারীর নমুনায় করোনা শনাক্ত হয়েছে । আক্রান্তরা নগরীর বিভিন্ন স্বাস্থ্যসেবাকেন্দ্রে কর্মরত আছেন । তারা তাদের কর্মক্ষেত্র থেকেই করোনায় আক্রান্ত হয়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে ।
শুক্রবার (১২ জুন) রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা পরীক্ষা ল্যাবে ৯৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে ৮জনের নমুনায় করোনা ধরা পড়ে। আর এই ৮জনের মধ্যে ৪জনই মেডিকেল কর্মচারী এবং রাজশাহী নগরীর বাসিন্দা।
এদের মধ্যে জেসমিন (২৮) রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে (২৯ ও ৩০ নং) কর্মরত আছেন। তার পরিবার নগরীর একটি এলাকায় ভাড়া থাকেন। তবে করোনা ওয়ার্ডে দায়িত্ব পড়ায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জেসমিনের মতো সকল নার্স ও চিকিৎসকদের পৃথক ভাবে থাকার ব্যবস্থা করে রেখেছে শুরু থেকেই। নওগাঁ জেলার বিপুল (৬৪), তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ।
একই এলাকার আলিফ লাম মিম (৪২), সিটি কর্পোরেশনের রিসিপশনিস্ট আয়েশা আক্তার (২৬), নগরীর ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ও সিটি কর্পোরেশনের মশক বিভাগের পরিদর্শক সানাউল্লাহ (৬০) এবং বাগমারা উপজেলার আকলিমা (৪০)।
কাজল (৩৮) কাজ করেন রাজশাহী জেলা পুলিশের হাসপাতালে। তিনি সেখানে নার্স হিসেবে কর্মরত আছেন। সম্প্রতি ওই হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত শিক্ষানবিশ দুই জন এসপিসহ একজন ঢাকা ফেরত পুলিশের একজন নারী কন্সটেবলের চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। তখন থেকেই কাজল ওই হাসপাতালে কর্মরত। তিনিও নগরীতেই পরিবার নিয়ে বসবাস করেন।
সেলিনা আক্তার (৪৪) কাজ করেন নগরীর একটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। প্রতিষ্ঠানটি রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত। দায়িত্ব অনুসারে সেলিনা আক্তার নগরীর বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রসূতি মাসহ অন্যান্যদের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করে থাকেন। পরিবার নিয়ে বসবার করেন নগরীতেই
সিটি কর্পোরেশনের স্বাস্থ্য বিভাগের রিসিপশনিস্ট আয়েশা আক্তার (২৬)। তিনি সিটি কর্পোরেশনের নিচ তলায় অবস্থিত রিসিপশনে কর্মরত। তিনিও নগরীতে বসবাস করেন ।
আক্রান্তদের ৭জনই রাজশাহী জেলার। একজন রাজশাহী জেলার বাহিরের । নগরীর মধ্যে যারা আক্রান্ত ছিল তারা স্বাভাবিকভাবে চলাফেলা করেছে বলে জানিয়েছে আক্রান্তরাই ।
