নিজস্ব প্রতিনিধিঃ আগামী ১৭ অক্টোবর রাজশাহী জেলা পরিষদ নির্বাচন। এ নির্বাচন ঘিরে চেয়ারম্যান পদে সরকার দলীয় ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী ও সমর্থকদের মাঝে দিন যতই ঘনিয়ে আসছে উত্তেজনা ও উদ্বেগ ততই বাড়ছে। একে অপরের মাঝে সংঘাত ও সহিংসতাসহ উভয় পক্ষের মাঝে ঘটেছে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া। নির্বাচন কমিশনে জমা হয়েছে কয়েকটি অভিযোগ ।
সর্বশেষ গত ৫ অক্টোবর রাত সাড়ে ১০ টায় রাজশাহীর মোহনপুরে জেলা পরিষদ নির্বাচনের সতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ আখতারুজ্জামান আখতার এর পোস্টার সাটানোকে কেন্দ্র করে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবাল এর কর্মী ও সমর্থকদের সাথে মারামারি ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন মোহনপুর থানা পুলিশের ওসি মোহা. তৌহিদুল ইসলামসহ অন্যান্য অফিসার ও ফোর্সরা। ঘটনাস্থল থেকে ৭জনকে আটকসহ জব্দ করা হয়েছে ২টি গাড়ি।
থানা পুলিশ ও স্থানীয়দের মাধ্যমে জানা গেছে, ৫ অক্টোবর বুধবার রাত ১১ টার দিকে উপজেলার মহব্বতপুর বাজারে রাজশাহী জেলা পরিষদ নির্বাচনের সতন্ত্র চেয়ারম্যানপ্রার্থী মোঃ আখতারুজ্জামান আখতার এর কর্মীরা ২টি মাইক্রোবাস ও ১টি প্রাইভেটকার নিয়ে মোটর সাইকেল প্রতীকের নির্বাচনী পোস্টার সাটানোর জন্য বাজারে আসেন। তারা ধুরইল ইউনিয়ন পরিষদসহ বাজারের বিভিন্ন জায়গায় পোস্টার সাটাচ্ছিলেন। পোস্টার সাটানোর সময় আওয়ামীলীগ মনোনীত বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবাল এর সমর্থকরা আখতারুজ্জামান এর পোস্টার সাটাতে বাঁধা নিষেধ করেন।এসময় দু’পক্ষের মাঝে কথা-কাটাকাটি ও হাতাহাতি শুরু হয়। একপর্যায়ে মোটর সাইকেল প্রতীকের একটি মাইক্রোবাস ঘটনাস্থল থেকে বের হওয়ার সময় স্থানীয় এক যুবককে ধাক্কা লাগলে সে আহত হয় এবং গাড়িটি চলে যায়। আহত মোতালেব(৩৭) মীর ইকবাল কর্মী ছিলেন। তিনি মহব্বতপুর পাচবাড়িয়া পাড়ার মোঃ আনসার আলীর ছেলে।
এঘটনায় মীর ইকবাল পক্ষে কর্মী ও সমর্থকদের মাঝে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে তারা মাইক্রোবাস ও প্রাইভেট কারে থাকা লোকজনকে মারধোর এবং গাড়ি ভাংচুর করে তাদের আটক করে রাখেন।
খবর পেয়ে মোহনপুর থানা পুলিশের ওসি মোহা.তৌহিদুল ইসলামসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। এদিকে পবা-মোহনপুর মাননীয় সংসদ সদস্য আয়েন উদ্দিন ও ধুরইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ দেলোয়ার হোসেনসহ নেতাকর্মীরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ১টি মাইক্রোবাস ও ১টি প্রাইভেট কারসহ ৭ জনকে আটক করেন।
আটককৃতরা হলেন বাগমারা উপজেলার বড়বিহানালী গ্রামের নাসির উদ্দীন প্রামাণিকের ছেলে আব্দুল মালেক নয়ন(৩৫), রাজশাহী নগরীর হড়গ্রাম এলাকার মৃত সাইফুদ্দিন মিয়ার ছেলে আবু সুফিয়ান সম্রাট(৩০), মৃত আবুল হোসেনের ছেলে আশিকুল ইসলাম নিটু(৪৫), মৃত এ্যাড.মাহাতাব উদ্দিনের ছেলে এ্যাড.গোলাম আযম ফারুক(৫৩), মনিমুল হকের ছেলে উজ্জ্বল হোসেন(৩০), লক্ষীপুর এলাকার মৃত নকির উদ্দিন শেখের ছেলে মোঃ আলী (৫৩) আরেক জনের নাম জানা যায়নি।
এদিকে গুরুতর আহত মোতালেব হোসেনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য মোহনপুর উপজেলা হাসপাতাল থেকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করেছেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
এব্যাপারে মোহনপুর থানা কর্মকর্তা ওসি মোহা.তৌহিদুল ইসলাম, মুঠোফোনে জানান, ঘটনাস্থল থেকে ৭জনকে আটক করা হয়েছে। তাদেরকে জিজ্ঞাবাদ চলছে। এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত জানানো হবে।
বৃহস্পতি অক্টো. ৬ , ২০২২
মো: সাগর হোসেন,বেনাপোল প্রতিনিধি:যশোরের বেনাপোল সীমান্ত থেকে ৫০ পিছ ইয়াবাসহ সাব্বির হোসেন শান (২১) নামে একাধিক মাদক মামলার আসামীকে গ্রেফতার করেছে বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার সময় বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে তালশারী দিঘীরপাড় গ্রামস্থ মিলন এর তেল পাম্পের সামনে পাকা রাস্তার উপর হতে তাকে আটক […]
এই রকম আরও খবর
-
১৭ ডিসেম্বর, ২০২০, ৬:৪৩ অপরাহ্ন
-
১৮ আগস্ট, ২০২০, ১:৩৫ অপরাহ্ন
-
২১ আগস্ট, ২০২০, ৪:২৯ অপরাহ্ন
-
২৫ মে, ২০২০, ১০:০০ অপরাহ্ন
-
২৪ অক্টোবর, ২০২৩, ৯:৪৭ অপরাহ্ন
-
২৮ আগস্ট, ২০২০, ২:৪৮ অপরাহ্ন