নিজস্ব প্রতিনিধি : রাজশাহীর বাঘায় বেওয়ারিস কুকুরের কামড়ে ১০ জন আহত হয়েছে। এছাড়া পাঁচ ব্যক্তির ছয়টি ছাগল খেয়ে নিয়েছে কুকুর। ফলে কুকুরের অত্যাচারে পথচলা ও স্কুলগামী শিক্ষার্থীরা রয়েছে আতঙ্কে। এমন ঘটনা ঘটেছে উপজেলার আড়ানী পৌর এলাকার হামিদকুড়া গ্রামে।
জানা যায়, উপজেলার হামিদকুড়া এলাকায় দুই সপ্তাহ যাবত বেওয়ারিস কুকুরের সংখ্যা বেড়েছে। এই কুকুরের কোনো মালিক নেই। যেখানে সেখানে অবস্থান করে। এলাকায় শিশুদের দেখলে পেছন দিক থেকে আক্রমণ করে কামড়ে দিচ্ছে।
কুকুরের কামড়ে আহতরা হলো, হামিদকুড়া গ্রামের শিশু নাবলিা খাতুন, রাকিব হোসেন, আসিব হোসেন, আলো খাতুন, জোতি খাতুন, সাজীব হোসেন, রিনা খাতুন, মিরাজ আলী, মর্জিনা খাতুন। আহতদের বয়স ৫ থেকে ১২ বছরের মধ্যে।
এছাড়া হামিদকুড়া গ্রামের মাজদার রহমানের দুটি, মুসা হোসেনের একটি, রিপন আলীর একটি, লিলির একটি, মর্জিনার একটি করে ছাগল খেয়েছে বেওয়ারিস কুকুর। ফলে এই বেওয়ারিস কুকুরের কারণে অনেকেই ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। কিন্তু এ ব্যাপারে কেউ কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
আড়ানী হামিদকুড়া গ্রামের মাজদুর রহমান বলেন, আমার দুটি ছাগল ছিল। এই ছাগল দুটি বেওয়ারিস কুকুরের খেয়ে নিয়েছে। এই দুটি ছাগলের মূল্য প্রায় ৩০ হাজার টাকা।
আড়ানী পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও হামিদকুড়া গ্রামের গ্রাম প্রধান মতিউর রহমান মতি বলেন, দুই/তিন সপ্তাহ থেকে এ গ্রামে বেওয়ারিস কুকুরের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। এই বেওয়ারিস কুকুরের কামড়ে অনেকেই আহত হয়েছে। এছাড়া আমি নিজেও কুকুরের আক্রমণ থেকে অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছি। তবে অতিশীঘ্রই এর ব্যবস্থা না করলে এলাকায় মহামারি দেখা দিবে। অতিদ্রুত কুকুর নিধনের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন।
আড়ানী পৌরসভার কাউন্সিলর ও হামিদকুড়া গ্রামের বাসিন্দা আবদুল আওয়াল বলেন, কুকুর নিধনের বিষয়ে পৌরসভার সম্মনিত সভায় উপস্থাপনা করা হবে।
জ /সে