পুঠিয়া প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলা খাদ্য গুদাম রক্ষণাবেক্ষণ কাজ শেষ না করেই চলে গেছেন ঠিকাদার। তার অভিযোগ, স্থানীয় ছাত্রলীগ-যুবলীগ নামধারীদের অনৈতিক দাবি ও প্রভাবের কারণে কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। ফলে নির্ধারিত সময়ে সংস্কার কাজ শেষ হয়নি।
জানা গেছে, কয়েক মাস থেকে উপজেলা পরিষদের উত্তর পাশের খাদ্য গুদামটির বিভিন্ন রক্ষণাবেক্ষণের কাজ শুরু হয়। গত ৩১ ডিসেম্বর সংস্কার কাজ শেষ করার শর্ত থাকলেও বিভিন্ন অজুহাতে ঠিকাদার তা শেষ করতে পারেনি। ওই সংস্কার কাজ করতে ব্যয় ধরা হয় প্রায় ৬৩ লাখ টাকা। কাজটি করছিলেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তমা গ্রুপ কোম্পানি।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, খাদ্য গুদামে সংস্কার কাজের শুরু থেকে ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় কতিপয় নেতারা প্রভাব বিস্তার করে। তারা প্রথমে নির্মাণ কাজের বিভিন্ন উপকরণ ঠিকাদারকে সরবরাহের প্রস্তাব দেয়। কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তাদের প্রস্তাবে রাজি না হলে মোটা অংকের টাকা দাবি করা হয়। টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় ঠিকাদারকে কাজ বন্ধ রাখতে বলা হয়। এক পর্যায়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন চাপের মুখে কয়েকদিন আগে কাজ বন্ধ রেখে শ্রমিকদের অন্য সাইডে সরিয়ে নেয়।
এ ব্যাপারে কথা বলতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তমা গ্রুপ কোম্পানির মালিক মানিক মিয়াকে একাধিকবার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি। তবে সাইড ম্যানেজার আরিফ হোসেন বলেন, কিছু দিন থেকে স্থানীয় ছাত্রলীগ-যুবলীগ নেতাকর্মীরা কাজে বিভিন্ন ভাবে প্রভাব খাটাচ্ছিল। তাই সংস্কার কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। ওই বিষয়গুলো সমাধান হলে আবারও কাজ শুরু করা হবে।
উপজেলা খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা জালাল উদ্দীন বলেন, ঠিকাদারকে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে চুক্তি মোতাবেক কাজ শেষ করতে বলা হয়েছে। কি কারণে বর্তমানে কাজ বন্ধ রয়েছে তা জানেন না দাবি করে তিনি বলেন, লোকমুখে শুনেছেন, ইট-বালু সরবরাহ নিয়ে স্থানীয় কিছু লোকজনের ঠিকাদারের মধ্যে একটা ঝামেলা হয়েছে। তবে ঠিকাদার তাকে কিংবা থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ দেয়নি।