আভা ডেস্কঃ রাজশাহীর পুঠিয়ায় ছাত্রলীগের এক নেতাকে থাপ্পড় মারা ও তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের উপ-পরিদর্শকের (এসআই) বিরুদ্ধে। ছাত্রলীগ নেতা নিজেই লাঞ্ছিত হওয়ার অভিযোগ তুলে এসআইয়ের বিচার দাবি করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন।
তবে পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) লাঞ্ছিত করার বিষয়টি অস্বীকার করে জানান, তার পেশাগত কাছে বাঁধা দেয়ায় একজনের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়েছে। তবে তিনি রাজনৈতিক দলের কোনো নেতা কি না তা জানা নেই।
আজ শুক্রবার দুপুরে একটি অভিযোগের তদন্ত করতে পুঠিয়া থানার এসআই মাইনুল ইসলাম ফোর্সসহ ভালুকগাছি ইউনিয়ন এলাকায় গেলে সেখানে ছাত্রলীগ নেতা আশরাফুল ইসলামের সঙ্গে তার এ ঘটনা ঘটে।
ছাত্রলীগ নেতা আশরাফুল ইসলাম উপজেলার চকদোমাদি গ্রামের মৃত মজিবর রহমানের ছেলে। তিনি রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি পদে রয়েছেন। পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাইনুল ইসলাম বর্তমানে পুঠিয়া থানায় কর্মরত রয়েছেন।
আশরাফুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, এসআই মাইনুল ইসলাম এসে আবুল হোসেনের দোকান ভাংচুর করছিলেন। এসময় আমি তার সাথে কথা বলতে চাইলেই উনি আমার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। আমাকে থাপ্পড় মেরে গাড়িতে তুলতে লাগেন। এসময় এলাকার অন্যান্য লোকজন এগিয়ে আসায় তাকে ছেড়ে দিয়ে চলে যান এসআই মাইনুল ইসলাম। এ ঘটনার পরই তিনি তার ফেসবুক আইডিতে এসআইয়ের বিচার দাবে করে স্ট্যাটাস দেন।
তবে তাকে থাপ্পড় মারা ও লাঞ্ছিত করার কথা অস্বীকার করে এসআই মাইনুল ইসলাম বলেন, একটি অপহরণ মামলার তদন্তে গেলে আশরাফুল ইসলাম নামের একজন আমাদের তদন্তে বাঁধা দেয়ার চেষ্টা করেন। এসময় তার সঙ্গে কথাকাটাকাটি হয়েছে। তবে তিনি কোনো রাজনৈতিক দলের নেতা কি না বিষয়টি আমার জানা নেই।
তাহলে লাঞ্ছিত করার কথা কেন বলছে ? জানতে চাইলে এসআই মাইনুল ইসলাম বলেন, যে অপহরণের অভিযোগটি তদন্ত করছি, সেটাতে প্রাথমিক তদন্তে ওই ছেলের নাম আসছে সে কারনেই এসব কথা বলে থাকতে পারেন বলেও জানান তিনি।
এ ব্যাপারে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাকিল উদ্দিন আহম্মেদ জানান, একটি অভিযোগের তদন্তে গিয়েছিলেন আমাদের একজন এসআই। সেখানে ছাত্রলীগ নেতা বাঁধা দিয়েছিলো বলে শুনেছি। আমি বিষয়টি এখনই (সেসময়) এসপি স্যারকে জানাবেন বলে জানান তিনি।
সিল্কসিটি