নিজস্ব প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর পদ্মায় বৌভাতে অনুষ্ঠান থেকে ফেরার পথে নৌকা ডুবিতে নিখোঁজ শামীম (৩৮) ও তার মেয়ে মদিনা ওরফে রশ্মির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার বিকেল ৪টার দিকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে উদ্ধারকর্মীরা। এ পর্যন্ত উদ্ধারকারীরা ৬জনের মৃতদেহ খুঁজে পেয়েছেন।
এরআগে দুপুরে একলাস আলী (২২) ও রতন আলী (৩০) নামের দুইজনের লাশ উদ্ধার করা হয়। সকালে রাজশাহীর চারঘাট এলাকা থেকে শামীমের স্ত্রী মনির লাশ উদ্ধার করে উদ্ধারকারী। গতরাতেই ডুবে মারা যান নিহত রতনের মেয়ে মরিয়ম (৬)।
অপরদিকে নিখোঁজরা হলেন- কনে সুইটি খাতুন পূর্ণিমা (২০), ফুফাতো বোন রুবাইয়া খাতুন (১৩) এবং খালা আখি খাতুন (২৫)।
রাজশাহী জেলা প্রশাসক মো. হামিদুল হক বলেন, নিখোঁজদের উদ্ধারে দমকল বাহিনী, বিজিবি ও নৌ-পুলিশ রাত থেকেই উদ্ধার অভিযান চালায়। সকালে তাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বিআইডাব্লুটিএ’র একটি ডুবুরি দল। এই নৌকা ডুবির ঘটনা তদন্তে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু আসলামকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি সকাল থেকে তদন্ত শুরু করেছে। এছাড়াও পদ্মাপাড়ে নিখোঁজ ও হতাহতের অনুসন্ধান উদ্ধার কার্যক্রম সমন্বয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। নিহতের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে ২০ হাজার টাকা করে দেয়া হবে। এছাড়াও আহতের চিকিৎসা ব্যয় বহন করবে সরকার বলেও জানান এই সরকারি কর্মকর্তা।
শুক্রবার চরখিদিপুর এলাকায় সন্ধ্যা ৭টার দিকে বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে ফেরার পথে ৩৬ জন যাত্রী নিয়ে দুইটি নৌকা ডুবির ঘটনা ঘটে। এতে এক শিশু মারা যায়। বিয়ের অনুষ্ঠানের যাত্রী নিয়ে পবা উপজেলার খানপুর থেকে ডাইঙ্গেরহাট যাচ্ছিল নৌকা দুইটি। রাতেই দমকল বাহিনী ও বিজিবি উদ্ধার অভিযান চালায়। খবর পেয়ে সিটি মেয়র ও রাজশাহী-৩ আসনের এমপিসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে যান।