নিজস্ব প্রতিনিধিঃ রাজশাহীতে ১ম ধাপে করোনার প্রথম ডোজ ১ লক্ষ ৮০ হাজার মানুষের জন্য বরাদ্ধ দেওয়া হয়েছে। নির্ধারিত অ্যাপে নিবন্ধনের মাধ্যমে করোনা ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। নিবন্ধনের বাহিরে কেউ ভ্যাকসিন পাবে না। বয়সে ৫৫ উর্ধ্ব নাগরিক, মুক্তিযোদ্ধাসহ ১৫ টি ক্যাটাগরির মানুষ এই ভ্যাক্সিনের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
আজ ২ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার বেলা ১২ টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ও প্রতিরোধসহ সার্বিক ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে গঠিত জেলা পর্যায়ের কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকের সাথে প্রেস ব্রিফ্রিংয়ে রাজশাহী জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল এসব কথা বলেন।
জেলা প্রশাসক বলেন, প্রথম ডোজ় পাবেন ১ লক্ষ ৮০ হাজার মানুষ। তাদের প্রথম ডোজের মেয়াদ ৮ সপ্তাহের মধ্যে ২য় ডোজ দেওয়া হবে। আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে নগরীর ৩টি পয়েন্টসহ জেলার ৯ টি উপজেলার ২৭টি পয়েন্টের সরকারি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে এই ভ্যাক্সিন দেওয়ার কাজ পরিচালনা করা হবে। ভ্যাক্সিন দেওয়ার জন্য স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে’।
তিনি আরও বলেন, ভ্যাক্সিন নিয়ে ভয় বা ক্ষতির কোনো কারণ নেই। সরকারের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা কর্মচারী সহ মন্ত্রী এমপি এই ভ্যাক্সিন ইতি মধ্যেই নিয়েছেন। রাজশাহীতেও নিবন্ধনের মাধ্যমে তিনি সহ এসপি ও সিভিল সার্জন ভ্যাক্সিন গ্রহন করবেন। গুজবে কান না দিয়ে সবাইকে ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য অ্যাপে আবেদন করার আহ্বান জানান তিনি।
রাজশাহীর সিভিল র্সাজন ডা. কাউয়ুম তালুকদার জানান, আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে বিভাগের আট জেলায় একযোগে টিকা প্রয়োগ শুরু হবে। গত শুক্রবার সব জেলায় টিকা পৌঁছে গেছে। সিভিল সার্জন কার্যালয়ের অধিনস্থ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত জেলা ইপিআই ষ্টোরে রাখা হয়েছে। সব কেন্দ্র এক সঙ্গে চালু করা হবে না। প্রথম পর্যায়ে জেলা শহরে ও দ্বিতীয় পর্যায়ে উপজেলায় দেয়া হবে।
তিনি বলেন, যারা টিকা গ্রহন করবেন তাদের তালিকা করা হয়েছে। এছাড়াও যারা টিকা প্রয়োগ করবেন ও তাদের সঙ্গে যেসব স্বেচ্ছাসেবী থাকবেন তাদেরও তালিকা হয়েছে। টিক প্রদানকারি স্বাস্থ্য কর্মী ও স্বেচ্ছাসেবকদের এক দিনের প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। প্রতিটি কেন্দ্রে চারটি বুথে টিকা দেয়া হবে। প্রতিটি বুথে দুইজন স্বাস্থ্য কর্মী ও চারজন স্বেচ্ছাসেবী থাকবে।
প্রথম ধাপে ১৫ টি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা পাবেন। সুরক্ষা অ্যাপসের মাধ্যমে টিকা প্রয়েগের জন্য নির্বাচিত ব্যক্তিকে তার কেন্দ্রের নাম, বুথ, ক্রমিক, তারিখ এবং সময় জানিয়ে দেওয়া হবে। রাজশাহীর জন্য বরাদ্দ হয়েছে ১৯ কাটুন ভ্যাকসিন। প্রতিটি কার্টুনে ১২০০ ভায়াল থাকবে। একটি ভায়ালে ১০ জনকে টিকা দেয়া হবে। প্রথম ডোজ শেষে দ্বিতীয় ধাপে ভ্যাকসিন প্রয়োগ করতে হবে ৮ সপ্তাহের মধ্যে। প্রতিটি উপজেলার স্বাস্থকেন্দ্র গুলোর ৩ টা বুধে ১৫০ থেকে ২০০ জনকে ভ্যকসিন দেওয়া হবে।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, রাজশাহীর পুলিশ সুপার এমবিএম মাসুদ হোসেন, সিভিল সার্জন ডা. কাউয়ুম তালুকদার, এডিসি (রাজস্ব)সহ উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ।