রাজশাহীতে বিজয় দিবসের আলোচনা সভা ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠিত

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ আজ ১৬ ডিসেম্বর, মহান বিজয় দিবস, বাঙালির গৌরবময় বিজয়ের ৫২ বছর। ১৯৭১ সালে দীর্ঘ নয় মাসব্যাপী রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের পর আজকের এই দিনে ত্রিশ লাখ তাজা প্রাণ ও দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে বাঙালি জাতি অর্জন করে এক ঐতিহাসিক বিজয়। তাই এই দিনটি বাঙালি জাতির ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় মুহুর্ত।

সারাদেশের মতো রাজশাহীতে বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনসহ নানা শ্রেণি-পেশার সর্বস্তরের জনগণ দিনব্যাপী নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে দিবসটি উদ্যাপন করে।

বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে শুক্রবার দুপুরে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে ‘জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ ও ডিজিটাল প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। বিভাগীয় কমিশনার জি এস এম জাফরউল্লাহ্ (এনডিসি) আলোচনা সভা ও সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিলের সভাপতিত্বে রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি আব্দুল বাতেন, আরএমপি’র কমিশনার মোঃ আবু কালাম সিদ্দিক, পুলিশ সুপার এ বি এম মাসুদ হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট আব্দুল হাদী, সাবেক প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা জিনাতুন নেসা তালুকদার বক্তব্য রাখেন।

সভায় বক্তারা ইতিহাসের মহানায়ক স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় চার নেতা, মহান মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ শহিদ ও ২ লাখ নির্যাতিত মা-বোনকে গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপট ও জাতীয় জীবনে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা তুলে ধরে আলোচনা করেন।

জি এস এম জাফরউল্লাহ্ বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা উজ্জীবিত হয়ে যুদ্ধ করে এই দেশ স্বাধীন করেছেন। ৫২ বছর আগের জোয়ান মুক্তিযোদ্ধারা আজ বৃদ্ধ হয়ে গেছেন, আমি তাঁদের দেখে অনুপ্রাণিত হই। মুক্তিযুদ্ধের গুরুত্ব তুলে ধরে বিভাগীয় কমিশনার বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা যদি দেশ স্বাধীন না করত তাহলে আমি বা আমার পরের প্রজন্মের কেউই এই চেয়ারে বসতে পারতাম না। নিজের দেশে পরাধীন জাতি হয়ে আমাদেরকে থাকতে হতো।

এ সময় উপস্থিত মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা যে উদ্দেশ্য নিয়ে দেশ স্বাধীন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা সেইভাবে দেশ পরিচালনা করতে পারছি কিনা? সেটা আপনারা জানাবেন। তাহলে আমাদের ভুলক্রটিগুলো আমরা সংশোধন করতে পারব।

অনুষ্ঠানে অন্যান্য বক্তারা মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, একটি দেশের প্রকৃত সমৃদ্ধির জন্য নতুন প্রজন্মকে সেই দেশ, জাতি ও ভাষার সঠিক ইতিহাস জানা প্রয়োজন। সঠিক তথ্য না জানলে কোনো জাতি-ই সার্বিক উন্নয়ন অর্জন করতে পারে না।

আলোচনা সভা শেষে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।

.

Next Post

নন্দীগ্রামে নানা আয়োজনে মহান বিজয় দিবস পালিত

শুক্র ডিসে. ১৬ , ২০২২
নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ বগুড়ার নন্দীগ্রামে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালিত হয়েছে। ১৬ ডিসেম্বর (শুক্রবার) মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসন, নন্দীগ্রাম পৌরসভা, উপজেলা আওয়ামী লীগ, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ উপজেলা ইউনিট কমান্ড, নন্দীগ্রাম থানা, উপজেলা জাতীয় পার্টি, প্রেস ক্লাবসহ বিভিন্ন সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান নানা কর্মসূচি পালন করে। উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে […]

Chief Editor

Johny Watshon

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore magna aliqua. Ut enim ad minim veniam, quis nostrud exercitation ullamco laboris nisi ut aliquip ex ea commodo consequat. Duis aute irure dolor in reprehenderit in voluptate velit esse cillum dolore eu fugiat nulla pariatur

Quick Links