নিজস্ব প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাইটেক পার্কের ‘শেখ কামাল আইটি ইনকিউবেশন অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টার’ এ আটটি প্রতিষ্ঠানকে স্পেস বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার (১৪ আগস্ট) ওই আট প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের হাতে বরাদ্দপত্র তুলে দেওয়া হয়।
এছাড়া, হাইটেক পার্কে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের আওতায় কনভেনশন হল স্থাপনের জন্য জমি বরাদ্দের লক্ষ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।
এর আগে সকালে সেখানে মুজিববর্ষ উপলক্ষে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের উদ্যোগে গাছের চারা রোপণ করা হয়। রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক গাছের চারা রোপণ করেন।
এসব অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন। অনুষ্ঠানের উদ্বোধক ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। বিশেষ অতিথি ছিলেন রাজশাহী-৩ আসনের সংসদ সদস্য আয়েন উদ্দিন ও সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য আদিবা আনজুম মিতা। জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাইটেক পার্ক প্রকল্পের পরিচালক এ কে এম ফজলুল হকসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
গত ১২ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘শেখ কামাল আইটি ইনকিউবেশন অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টার’ উদ্বোধন করেন। প্রায় ৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ৭২ হাজার বর্গফুট আয়তনের এ ভবনে নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য বিনামূল্যে স্পেস বরাদ্দ দেওয়া হবে। ২০১৭ সালের ১৮ জুলাই এই ইনকিউবেশন সেন্টার ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের পর মাত্র তিন বছরের মধ্যে শুক্রবার আনুষ্ঠানিকভাবে আটটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বরাদ্দপত্র দেওয়া হলো।
বঙ্গবন্ধু শেখ মজিব হাইটেক পার্কে কনভেনশন হল স্থাপন করবে রাজশাহী সিটি করপোরেশন। এ লক্ষ্যে মেয়র ও প্রতিমন্ত্রীর উপস্থিতিতে সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের পরিচালক এ এন এম সফিকুল ইসলাম এবং রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সচিব আবু হায়াত মো. রহমতুল্লাহ।
২০১৭ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাইটেক পার্কে ১০ তলা বিশিষ্ট জয় সিলিকন টাওয়ারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। পদ্মা নদীর পাড়ে ৩১ একর জমির ওপর প্রায় ২৮৮ কোটি টাকা ব্যয়ে গড়ে উঠছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাইটেক পার্ক। নির্মাণকাজ পুরোপুরি শেষ হলে এখানে প্রায় ১৪ হাজার তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
