আবুল কালাম আজাদঃ রাজশাহীতে পুলিশের বিরুদ্ধে ছিনতাইয়ের অভিযোগ
রাজশাহীতে মো. সালাহউদ্দীন নামে এক ব্যক্তি ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছেন। আর এ ছিনতাইয়ে পুলিশের একটি দল জড়িত বলে অভিযোগ করেছেন তার ভাই আবদুল হকিম মানিক। সোমবার রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) কমিশনার বরাবর লিখিতভাবে এই অভিযোগ করেছেন তিনি।
আগের দিন বিকালে নগরীর ডাবতলা এলাকায় আরএমপির রাজপাড়া থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) শরীফুল ইসলামের নেতৃত্বে ওই ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগে দাবি করা হয়েছে। অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, ভয়ভীতি দেখিয়ে নগদ তিন হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে পুলিশের ওই দল। এছাড়া মোবাইলের বিকাশ থেকে নেওয়া হয়েছে আরও চার হাজার টাকা।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার হরিপুর সাহাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা সালাহউদ্দিন গত ২৪ এপ্রিল হৃদরোগে আক্রান্ত হন। এরপর তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রোববার (২৮ এপ্রিল) তিনি হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান। এরপর তিনি নগরীর ডাবতলা এলাকায় তার বোনের বাড়ি যান। পরে বিকালে সালাহউদ্দীন তার ভাবীর সঙ্গে রিকশায় চড়ে শহরে বের হন। বাড়ি থেকে মাত্র ২০০ গজ দূরে গেলেই রিকশার গতিরোধ করে একদল পুলিশ।
এ সময় ভয়ভীতি দেখিয়ে তার কাছ থেকে নগদ তিন হাজার টাকা কেড়ে নেয়া হয়। এছাড়া ০১৭১০১৩৬১০৮ নম্বরে বিকাশের মাধ্যমে চার হাজার টাকা নেওয়া হয়। ঘটনাস্থলে থাকা ‘রাজ মেট্রো-ল ১১-০৪২২’ নম্বরের একটি মোটরসাইকেল ও বিকাশের টাকা নেওয়া ওই মোবাইল নম্বরের সূত্র ধরে সালাহউদ্দীন নিশ্চিত হন, পুলিশের ওই দলটি রাজপাড়া থানার। সন্ধ্যায় থানায় গিয়ে তিনি বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছেন। সে সময় পুলিশ মীমাংসার জন্য ভয়ভীতি দেখালে তারা চাঁপাইনবাবগঞ্জ চলে যান।
অভিযোগপত্রে আরও বলা হয়, এএসআই শরীফুল এখন ফোন করে বিষয়টি মীমাংসার জন্য চাপ দিচ্ছেন। আবদুল হাকিম অভিযোগে বলেছেন, তার ভাই সালাহউদ্দীন হৃদরোগে আক্রান্ত। পুলিশের ওই ছিনতাইয়ের সময় তার বড় ধরনের কোনো দুর্ঘটনাও ঘটতে পারত। তাই তিনি দোষীদের শাস্তি চান।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কিছু জানেন না বলে দাবি করেছেন রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান। তবে অভিযুক্ত এএসআই শরীফুল ইসলাম বলেছেন, রিকশায় তাদের আচরণ ভাল ছিল না। এ জন্য রিকশা থামিয়ে তাদের বকাঝকা করা হয়েছে। ছিনতাইয়ের মতো কোনো ঘটনা ঘটেনি।
অভিযোগের বিষয়ে আরএমপির মুখপাত্র গোলাম রুহুল কুদ্দুশ বলেন, অভিযোগগুলো আরএমপির নিজস্ব ব্যাপার। তাই এ নিয়ে গণমাধ্যমে কথা বলার কিছু নেই। তবে অভিযোগ হয়ে থাকলে সঠিকভাবে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এই অভিযোগের ক্ষেত্রেও এটি করা হবে।