যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদারে আশাবাদি বাংলাদেশ।

আভা ডেস্কঃ যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক পটপরিবর্তন হলেও কূটনৈতিক-অর্থনৈতিক সর্ম্পক ইতিবাচক থাকবে বলে মনে করছে বাংলাদেশ। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশটির পরামর্শে বাংলাদেশে শ্রম আইন ও ইপিজেড শ্রম আইন সংস্কার করা হয়েছে। উন্নয়ন করা হচ্ছে দেশের বিমানবন্দরগুলো। তাই আগামী দিনগুলোতে বাণিজ‌্যিক সর্ম্পক আরও বেশি জোরদার হবে বলেও তাদের ধারণা।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র বলছে, তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ভারতের কিছু সেবা ব্যয়বহুল হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশ এসব সেবা উৎপাদন ও যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে রপ্তানির সুযোগ নিতে পারে।  এই খাত নিয়ে কাজ করার যথেষ্ট সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘অনেক মার্কিন কোম্পানি রয়েছে, যেগুলো বাংলাদেশের জ্বালানি খাতের উন্নয়নে সাহায্য করতে আগ্রহী। এ জন‌্য তারা প্রশাসনিক বিভিন্ন বিষয় নমনীয়সহ সমাধানের পরামর্শ দিয়ে আসছে। দুই দেশ এসব বিষয় সমাধানে কাজও করে যাচ্ছে। বাংলাদেশ সরকার অবকাঠামো ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সুবিধা বাড়াতে চেষ্টা চালাচ্ছে।

এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নেতৃত্ব অর্থনৈতিক পুনর্গঠনের দিকে নজর দেবে। সেক্ষেত্রে এশীয় অঞ্চলে বাংলাদেশকে বেশি গুরুত্ব দেবে তারা। আশা করি, আগামীতে এই সম্ভাবনা আরও বেশি বিস্তৃত হবে।’

ঢাকায় অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, নিরাপদ ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের ব্যাপারে অভিন্ন মতপোষণ করে। গণতন্ত্র, সুশাসন, বাণিজ্য, বিনিয়োগ, নিরাপত্তা সহযোগিতা, টেকসই উন্নয়ন, সন্ত্রাস মোকাবিলা, অভিবাসন ও জলবায়ু পরিবর্তনসহ দ্বিপক্ষীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ইস‌্যুতে সহযোগিতা জোরদার করতে কাজ করছে দুই দেশ।  পাশাপাশি শ্রমিকদের অধিকার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র আরও অগ্রগতি নিশ্চিত করতে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে।  একইসঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের বিস্তার ঘটাতে বাংলাদেশকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে যুক্তরাষ্ট্র।  বাংলাদেশে বিশাল সম্ভাবনা থাকায় দেশটির বিশেষ মনোযোগ রয়েছে তেল, গ্যাস ও জ্বালানি খাতে।

প্রসঙ্গত, গত এক দশকে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য দ্বিগুণ হয়ে ৮০০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে গেছে। বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের যেসব পণ্য আসে, এর মধ্যে রয়েছে কৃষিপণ্য, যন্ত্রপাতি, লোহা ও ইস্পাতপণ্য। আর যুক্তরাষ্ট্রে যায় তৈরি পোশাক, জুতা, টেক্সটাইল সামগ্রী ও কৃষিপণ্য।

এই প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন বলেন, ‘বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় ধারাবাহিকতার ব্যাপারে আশাবাদী। দেশটির সঙ্গে আমাদের ভালো কূটনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে। দ্বিপক্ষীয় বিনিয়োগ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। দ্বৈত কর এড়ানোর জন্যও চুক্তি হয়েছে। আশা করি, আগামী দিনে দ্বিপক্ষীয় অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও বেশি সমৃদ্ধ হবে।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের অর্থনীতি ধারাবাহিকভাবে ভালো করছে। পাশাপাশি ভূ-রাজনৈতিকভাবেও খুব ভালো অবস্থানে রয়েছি।  যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ‌্যিক সর্ম্পক জোরদারে এসব বিষয়ের ওপর দৃষ্টি রাখে।’ তাই দেশটির ক্ষমতার পরিবর্তন হলেও দ্বিপক্ষীয় বিষয়গুলো ঠিক থাকবে বলেও তিনি মনে করেন।

উল্লেখ্য, গত ৩ নভেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অনুষ্ঠিত হয়। ২৭৯ ইলেকটোরাল ভোট পেয়ে ৭ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন ডেমোক্রেট প্রার্থী জো বাইডেন।

Next Post

পবায় চার বছরের শিশু ধর্ষণ, এলাকায় ক্ষোভের সৃষ্টি।

বৃহস্পতি নভে. ১২ , ২০২০
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর পবায় মিস্টি খাওয়ানোর লোভ দেখিয়ে চার বছরের শিশুকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় এলাকাবাসী ধর্ষকের বাড়ি ঘেরাও করে রেখেছেন। পবার ভুগরই এলাকায় বুধবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। রাত ১২ টার দিকে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ধর্ষকের বাড়ি ঘেরাও করে রাখে স্থানীয় জনতা। এনিয়ে ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে […]

Chief Editor

Johny Watshon

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore magna aliqua. Ut enim ad minim veniam, quis nostrud exercitation ullamco laboris nisi ut aliquip ex ea commodo consequat. Duis aute irure dolor in reprehenderit in voluptate velit esse cillum dolore eu fugiat nulla pariatur

Quick Links