আভা ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক ধর্মযাজক অ্যান্ড্র ব্রান্সনকে আটকের পর থেকে তুরস্কের ওপর ক্ষুব্ধ যুক্তরাষ্ট্র। চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে তুরস্কের দুই মন্ত্রীর ওপর অবরোধ আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
সর্বশেষ গত সপ্তাহে তুরস্কের দুই পণ্যে শুল্ক বৃদ্ধি করার ফলে তুর্কি লিরার দাম কমতে থাকে। গত সপ্তাহে প্রতি ডলার ৭ দশমিক ২৪ লিরায় কিনতে হয়েছে। অথচ এ বছরের এপ্রিলে প্রতি ডলারের মূল্য ছিল ৪ লিরা।
এমতাবস্থায় প্রেসিডেন্ট এরদোগান তুরস্কের জনগণকে ডলার ও ইউরো বিক্রি করে দিতে বলেছেন যাতে লিরার মুদ্রামান ঠিক থাকে।
এছাড়া আমদানি ব্যয় কমানোর জন্য আমেরিকান পণ্যে শুল্ক বৃদ্ধি করেছে তুরস্ক। এরদোগানের সিদ্ধান্ত স্বাগত জানিয়ে দেশটির অনেক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান আমেরিকার সঙ্গে পণ্য কেনা চুক্তি বাতিল করেছে।
এদিকে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি তুরস্ক সফর করে দেশটির শেয়ারবাজার ও ব্যাংকে ১ হাজার ৫০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করার ঘোষণা দিয়েছেন।
এই ঘোষণার পরপরই ডলারের বিপরীতে লিরার দাম আবার বেড়ে গেছে।
অনেকে আশা করছিলেন মুদ্রাস্ফীতি ঠেকাতে তুরস্কের কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদের হার বাড়িয়ে দেবে।
তবে মধ্যপ্রাচ্যের শক্তিশালী সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার সাংবাদিক কোসেগলু ইস্তাম্বুল থেকে বলেছেন, তুরস্কের জন্য এটা অসম্ভব। মুদ্রাস্ফীতি থাকা সত্ত্বেও এরদোগান সরকার কখনো এটা করবে না।
যুগান্তর