মোহনপুর প্রতিনিধি ঃঃ করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলাসহ এ অঞ্চলের সকল গরু ছাগলের হাট বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এজন্য কোথাও চলছেনা গরু-ছাগল বেচাকেনা। প্রতিদিনের বাজারহাট না বসার বন্ধ রয়েছে মাংস বিক্রি। অনেক গরু ব্যবসায়ী গরু কেনার পর হঠাৎ হাটবাজার বন্ধ ঘোষণা হয়।
এজন্য গরু পালণকারি খামারিদের পাশাপাশি গরুর ব্যবসায়ীরা বাড়িতে বন্দী গরুর খাদ্য জোগাতে গিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন। বাজারে খড়, খুদ-ভুষির পর্যাপ্ত সরবরাহ না থাকায় দুই থেকে তিনগুন দাম বেড়েছে। ১শ ২০ টাকা পনের খড়ের দাম দুই সপ্তার ব্যবধানে বেড়ে দাড়িয়েছে ৩শ ২০ টাকা।
একদিকে ঘরমুখি মানুষরা রোজগারহীন হয়ে পড়েছ অন্যদিকে বাড়িতে আটকা পড়া গরু ছাগলের খাবার জোগাতে নিরুপায় হয়ে ঝোপঝাড়, ডোবা নালায় নেমে জংলী-কাশি, বার্তাজ (দল) কেটে গরুকে খাওয়াতে বাধ্য হয়েছে। পরিবারের খাদ্য জোটানোর মধ্যে গরু ছাগলের খাবার জোটানো মানুষগুলো সীমাহীন কষ্ট উপেক্ষা বলছেন কষ্ট হোক তবুও দেশ থেকে এসব ব্যারাম সেরাম চলে যাক।
রোববার ( ৫ এপ্রিল) দুপুরে কেশরহাট সিঅ্যান্ডির মোড়ে বার্তাজ (দল) কাটতে দেখা যায় আজাহার নামের এক গরু ব্যবসায়ী।ে তিনি নওগাঁ জেলা থেকে বিক্রির জন্য ৫টি গরু কিনে নিয়ে আসার পরদিন হঠাৎ শুনতে পান করোনা সতর্কতায় সকল হাটবাজার বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এছাড়া তার বাড়িতে রয়েছে আরো ৪টি পোষা গরু। সব মিলে ৯টি গরুর জন্য প্রতিদিন খাবার লাগে প্রায় ১হাজার থেকে ১২শ টাকার। প্রতিদিনের সংসার ব্যয় প্রায় ২শ টাকা। এতে প্রতিদিনের খাবার জোগানো সম্ভব হচ্ছে না তাই নিরুপায় হয়ে গরুকে খড়ের সঙ্গে বার্তাজ মেশাল দিয়ে খাওয়াচ্ছেন।
কেশরহাট পৌর এলাকার হরিদাগাছি গ্রামের মফিজ উদ্দিন নামের এক ভ্যানচালক বলেন, আমার ৩টি গরু আছে। জমি সম্পদ নাই। ভ্যান চালিয়ে সংসার চালানো। ভ্যান চালাতে বাইরে যেতে পারিনি বলে সারাদিনেও গরুকে সামান্য পরিমাণ খড় খাওয়াতে পারিনা এজন্য ঝোপঝাড় কেটে খাওয়াচ্ছি। ব্যারাম সরলো গা বাঁচা।