মিনুকে কোনভাবেই ছাড় না দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে ওয়ার্কার্স পাটি

আভা ডেস্কঃ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে কটূক্তি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার ইঙ্গিতপূর্ণ বক্তব্য দেয়ায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনুকে যেন কোন ছাড় না দেয়া হয় সরকারের কাছে সেই আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি।

বুধবার দুপুর ১২টায় দলটির রাজশাহী মহানগর সম্পাদকমণ্ডলির সভা থেকে এ আহ্বান জানানো হয়। এছাড়া সরকারবিরোধী উসকানিমূলক বক্তব্য দেয়ায় মিনুসহ বিএনপির চার নেতার বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলার আবেদন করাকে সাধুবাদ জানিয়েছে দলটি।

রাজশাহী নগরীর সাহেববাজার জিরোপয়েন্টে ওয়ার্কার্স পার্টির দলীয় কার্যালয়ে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যতম সদস্য ও রাজশাহী মহানগর সম্পাদকমণ্ডলির সদস্য অ্যাডভোকেট এন্তাজুল হক বাবু। সভা পরিচালনা করেন কেন্দ্রীয় কমিটির আরেক সদস্য ও মহানগরের সাধারণ সম্পাদক দেবাশিষ প্রামানিক দেবু।

সভায় বক্তারা বলেন, গত ২ মার্চ রাজশাহীতে বিএনপির সমাবেশে মিজানুর রহমান মিনু বঙ্গবন্ধুকে অমর্যাদা ও প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার ষড়যন্ত্রমূলক বক্তব্য দেন। ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা বিবৃতি দিয়ে তাকে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরও তার বক্তব্যের প্রতিবাদ জানান। এরপর মিজানুর রহমান মিনু নিজের বক্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন , তিনি সব সময় রাজশাহীর মানুষের পাশে ছিলেন এবং আছেন। কিন্তু আমরা দেখেছি- ২০০২ সালে তিনি ভোট চুরি করে রাজশাহীর মেয়র হয়েছেন। তাই রাজশাহীর মানুষ তাকে প্রত্যাখান করেছিল।

বক্তারা আরও বলেন, মিনুর ভোট চুরির প্রতিবাদ করতে গেলে নগরীর ভদ্রা মোড়ে তৎকালীন যুবলীগ নেতা ওয়াজ উদ্দিন দুলুকে মিনুর নির্দেশে তার গুণ্ডাবাহিনী খুন করে। নারীরা মিনুর বিরুদ্ধে ঝাড়ুমিছিল বের করলে মিনুর বাহিনী সেই মিছিলে হামলা চালায়। পুলিশ গুলি চালায়। তখন ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা ফজলে হোসেন বাদশা ও নারী মুক্তি সংসদের সভাপতিসহ নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। মিজানুর রহমান মিনু নিজেরা গাড়ি ভাঙচুর ও বোমা মেরে আওয়ামী লীগ ও ওয়ার্কার্স পার্টির নেতাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করে।

তারা বলেন, মিজানুর রহমান মিনু সিটি কর্পোরেশনের অর্থ জঙ্গিবাদ বিস্তারের জন্য সিদ্দিকুল ইসলাম ওরফে বাংলা ভাইয়ের হাতে তুলে দিয়েছিলেন। আদালতে এ কথা বাংলা ভাই বলে গেলেও তিনি পার পেয়ে গেছেন। এখন আওয়ামী লীগ তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহীতার মামলার আবেদন করায় আমরা সেটিকে সাধুবাদ জানাই। অতীতের মতো মিনু যেন এবার পার পেয়ে না যান। তাই এ ব্যাপারে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার জন্য আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাই। প্রধানমন্ত্রীর প্রাণনাশের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সকল শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে রুখে দাঁড়াতে হবে।

সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন- ওয়ার্কার্স পার্টির মহানগর সম্পাদকমণ্ডলির সদস্য সাদরুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট আবু সাঈদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ, আবদুল মতিন, সিরাজুর রহমান খান, মনিরুজ্জামান মনির, মনির উদ্দিন পান্না প্রমুখ।

উল্লেখ্য, গত ২ মার্চ বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশে আরেকটি ১৫ আগস্ট ঘটানোর ইঙ্গিতপূর্ণ বক্তব্য দেন দলটির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু। এই বক্তব্যের জন্য মহানগর আওয়ামী লীগ মিনুকে ক্ষমা চাইতে ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেয়। নইলে মামলা করারও ঘোষণা দেয়া হয়। আল্টিমেটামের ৭২ ঘণ্টা পর মিনু গণমাধ্যমে একটি বিবৃতি পাঠিয়ে নিজের বক্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন। তবে সাবেক এই মেয়র ক্ষমা চাননি। ক্ষমা না চাওয়ায় আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে মিনুসহ চার নেতার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার আবেদন করা হয়েছে।

Next Post

বাঁশখালী থানা পুলিশের অভিযানে ২৮ শ পিস ইয়াবাসহ এবার মা-ছেলে আটক

বুধ মার্চ ১০ , ২০২১
এনামুল হক রাশেদী, বাঁশখালী(চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি: চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে ২,৮০০ পিস ইয়াবা টেবলেট সহ ২ জন ইয়াবা পাচারকারীকে গ্রেফতার করেছে বাঁশখালী থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃত ২ ইয়াবা পাচারকারী মা ও ছেলে বলে জানা গেছে। তারা হচ্ছেন, কক্সবাজার জেলার টেকনাফ উপজেলার বড়ইতলী এলাকার জোহরা বেগম (৪৮) ও তার ছেলে […]

Chief Editor

Johny Watshon

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore magna aliqua. Ut enim ad minim veniam, quis nostrud exercitation ullamco laboris nisi ut aliquip ex ea commodo consequat. Duis aute irure dolor in reprehenderit in voluptate velit esse cillum dolore eu fugiat nulla pariatur

Quick Links