আভা ডেস্ক : ‘বন্দুকযুদ্ধে’ চট্টগ্রামে তিন ও টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে একজন নিহত হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে গাঁজা, অস্ত্র ও গুলি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দাবি নিহতরা মাদক কারবারি। এ ছাড়া রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়িতে বিবদমান দুই সশস্ত্র গ্রুপের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধে দু’জন নিহত হয়েছে। যুগান্তর ব্যুরো ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-
চট্টগ্রাম : র্যাবের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে তিন ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার ভোরে নগরীর খুলশী থানার রেলওয়ে ক্যান্টিন গেটে এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা মাদক ব্যবসায়ী দাবি করে র্যাব জানিয়েছে, তাদের ব্যবহৃত প্রাইভেটকার তল্লাশি করে ১২০ কেজি গাঁজা, দুটি অস্ত্র ও কয়েক রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। এর আগে ২০ জুলাই র্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নগরীর একই থানা এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছিলেন দু’জন। তাদের একজনের পরিচয় পাওয়া গেলেও এখন পর্যন্ত অপরজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি। বৃহস্পতিবার নিহত তিনজনের মধ্যে দু’জনের পরিচয় পেলেও অপরজনের নাম ঠিকানা জানাতে পারেনি র্যাব। তারা হলেন- জাকির হোসেন ও ডালিম শেখ। তারা বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জের বাসিন্দা। ডালিমের বিরুদ্ধে ঢাকার যাত্রাবাড়ী ও কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া থানায় দুটি এবং জাকিরের বিরুদ্ধে ঢাকার ওয়ারী থানায় একটি মাদকের মামলা রয়েছে বলে র্যাব জানিয়েছে। ২০ জুলাই নিহত ওই দু’জনের মধ্যে বাবুল নামে একজনের পরিচয় মিলেছে। তার লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
রাঙ্গামাটি : বাঘাইছড়িতে বিবদমান দুই সশস্ত্র গ্রুপের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধে দু’জন নিহত হয়েছেন। নিহত একজনের নাম বন কুসুম চাকমা। অপর ব্যক্তির পরিচয় পাওয়া যায়নি। বৃহস্পতিবার বিকালে উপজেলার বঙ্গলতলী ইউনিয়নের বালুখালী বেতাগিছড়া নামক দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সেনা, পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছে। বিকাল প্রায় ৩টার দিকে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) এবং সংস্কারবাদী জেএসএস ও গণতান্ত্রিক ইউপিডিএফ সমর্থনপুষ্ট বিবদমান দুটি সশস্ত্র গ্রুপের সদস্যরা বন্দুকযুদ্ধে লিপ্ত হন। সন্ধ্যা ৭টায় এ রিপোর্ট লেখার সময়ও তা চলতে থাকে। এ সময় উভয়ের মধ্যে অন্তত ৪-৫শ’ রাউন্ড গুলিবিনিময় ঘটেছে। জেএসএস সংস্কারবাদী ও গণতান্ত্রিক ইউপিডিএফ একই জোটে। গুলিতে এ জোটবদ্ধ গ্রুপের দুই সদস্য নিহত হয়েছেন বলে স্থানীয় সূত্রগুলো জানিয়েছে।
মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) : মির্জাপুরে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নাজমুল হাসান নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এ সময় নাজমুলের সহযোগীরা তাকে ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা ও গুলিতে পুলিশের পাঁচ সদস্য আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র, গুলি ও চাপাতি উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ভোররাতে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক সংলগ্ন টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার পুষ্টকামুরি চরপাড়া বাইপাস এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নাজমুল মির্জাপুর উপজেলার ভাতগ্রাম ইউনিয়নের বাগজান গ্রামের মো. মোশারফ হোসেনের ছেলে। মির্জাপুর থানার ওসি একেএম মিজানুল হক সাংবাদিকদের জানান, নাজমুল এলাকার একজন চিহ্নিত ও তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী। তার নামে মাদক ব্যবসা, ডাকাতি, চুরি ও ছিনতাইসহ ১২টি মামলা রয়েছে। তাকে গ্রেফতার করে নিয়ে আসার পথে তার সহযোগীরা নাজমুলকে ছাড়িয়ে নিতে পুলিশের ওপর হামলা ও গুলি চালালে ক্রসফায়ারে পরে নাজমুল আহত হয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়।