আভা ডেস্কঃ বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এমপি বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ‘অপারেশন ক্লিনহার্ট’ নামে বিচারবহির্ভূত হত্যাকে দায়মুক্তি দিয়েছিল। সাম্প্রতিক সময়ের বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড সেই ধারাবাহিকতায় চলছে।
মেনন বলেন, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কেবল ব্যক্তির মৌলিক অধিকারকেই লঙ্ঘন করে না, রাষ্ট্র ও সমাজকেও বিপদের মুখে ঠেলে দেয়। মেজর সিনহার হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে টেকনাফ অঞ্চলে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের যেসব তথ্য প্রকাশিত হচ্ছে তা থেকে সাধারণ মানুষের মনে একই প্রশ্ন সৃষ্টি হয়েছে। ফলে সন্ত্রাস বা মাদক কোনোটাই নির্মূল হয় নাই বরং বেড়েই চলেছে। সন্ত্রাস-মাদক নির্মূলের নামে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডে দেশবাসী কেবল উদ্বিগ্নই নয়, হতাশও।
এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে যেমন আইনি ব্যবস্থা প্রয়োজন তার চেয়ে বড় প্রয়োজন সামাজিক সচেতনতা ও প্রতিরোধ। রাজনৈতিক দলগুলোকে দেশের মানুষের মধ্যে সেই সচেতনতা ও প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে বলে উল্লেখ করেন মেনন।
মঙ্গলবার দুপুরে দলীয় কার্যালয় চত্বরে ‘সন্ত্রাসবিরোধী দিবস’ পালন উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় অনলাইন ভিডিওকলে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
১৯৯২ সালের ১৭ আগস্ট রাশেদ খান মেননকে হত্যাচেষ্টা চালানো হয়। এই দিনটিকে ‘সন্ত্রাসবিরোধী দিবস’ হিসেবে পালন করে ওয়ার্কার্স পার্টি। এ দিবসে দলটি দেশব্যাপী নানা কর্মসূচি গ্রহণ করে।
‘সন্ত্রাসবিরোধী দিবস’ ২৮তম বার্ষিকী পালন অনুষ্ঠানে মেনন আরও বলেন, বিএনপির দুঃশাসনের বিরুদ্ধে ১৪ দল যে লড়াই করেছিল তার অন্যতম দাবি ছিল বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধ করা। কিন্তু সন্ত্রাস ও মাদক নির্মূলের নামে ওই একই বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বহাল থাকায় দেশবাসী কেবল উদ্বিগ্নই নয়, হতাশ এবং আতঙ্কে রয়েছেন।
তিনি বলেন, মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ হত্যাকাণ্ড ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য এক তরুণ প্রতিশ্রুতিশীল নারী শিপ্রা দেবনাথকে নিয়ে নানামুখী অপপ্রচার চলছে। এটা আমাদের পুরুষতান্ত্রিক ও আমলাতান্ত্রিক সমাজের শিকার হয়েছেন শিপ্রা দেবনাথ। এ অপপ্রচার বন্ধ করার জন্য নারী সমাজকে সোচ্চার হতে হবে।
ঢাকা মহানগর কমিটির সভাপতি আবুল হোসাইনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অনলাইন ভিডিওকলে বক্তব্য দেন- পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা এমপি, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আবদুল খালেক, ঢাকা মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক কিশোর রায়, ঢাকা মহানগর সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর আলম ফজলু, সাদাকাত হোসেন খান বাবুল প্রমুখ।