আভা ডেস্কঃ আদালতের রায়ে সাজাপ্রাপ্ত বিএনপির দুই শীর্ষ নেতা বিদেশে বসে আয়েশি জীবন কাটাচ্ছেন বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপির দুই শীর্ষ নেতা আদালতের রায়ে সাজাপ্রাপ্ত। যিনি নিজেকে এ দলটির নেতা হিসেবে জাহির করছেন, তিনি রিফিউজি হয়ে বিদেশে বসে আয়েশে জীবন কাটাচ্ছেন। এ দেশের মানুষের জন্য ধ্বংসাত্মক কাজ করা ছাড়া তাদের আর কিছু করার নেই।’
সোমবার দুপুরে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘বিএনপি মানুষকে কিছু দিতে পারেনি, হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করে নিয়ে গেছে। আর তাজা মানুষ যারা আগুনে পুড়িয়ে মারতে পারে আন্দোলনের নামে, তাদের কাছ থেকে এ দেশের মানুষ কী আশা করবে?
‘তাই আমি বলব যে কেউ ৭ মার্চের ভাষণ দিবস পালন না করল, এটা বোধহয় আমাদের চিন্তা করার কিছু নেই। কারণ এটা ধরেই নিতে হবে, এরা সেই গোষ্ঠী, যারা এ দেশের স্বাধীনতাই চায়নি। এরা সেই গোষ্ঠী, যারা জাতির পিতাকে হত্যা করেছে। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা করেছিল আমাকে হত্যা করতে; কিন্তু জীবন গেছে আইভী রহমানসহ কত নেতাকর্মীর।’
তিনি আরও বলেন, ‘জীবন্ত মানুষ এরা পুড়িয়ে হত্যা করেছে। এক একটা মানুষের জীবন নষ্ট করে দিয়েছে, তাজা মানুষ যারা আগুনে পুড়িয়ে মারতে পারে আন্দোলনের নামে, তাদের কাছ থেকে এ দেশের মানুষ কী আশা করবে?’
বাংলাদেশের উন্নয়নে যা করার আমরা করে দিচ্ছি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতার স্বপ্নটা বাস্তবায়ন করা এটাই আমাদের লক্ষ্য, সেটা মাথায় রাখতে হবে। কী পেলাম না পেলাম সেটা চিন্তা করি না। আমি চিন্তা করি বাংলাদেশের মানুষের জন্য কতটুকু দিতে পারলাম। যার জন্য আমার বাবা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব জীবন দিয়ে গেছেন, আমার মা জীবন দিয়ে গেছেন, আমার ভাইয়েরা জীবন দিয়ে গেছে, লাখো শহীদ জীবন দিয়েছে, কাজেই তাদের স্বপ্নগুলো পূরণ করে আমরা এগিয়ে নিয়ে যাব। স্বপ্নটা আমার না, স্বপ্নটা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের। এই বাংলাদেশকে তিনি কীভাবে উন্নত করতে চেয়েছিলেন, সেটাই আমরা করতে চাই।’
সরকারপ্রধান বলেন, ‘৭ মার্চের এই ভাষণ এখনও আমাদের উদ্বুদ্ধ করে। প্রতিটি লাইন অর্থবহ। সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা দেয়। বিশ্বে আর কোনো ভাষণ এত বছর এই রকম প্রাণবন্ত থাকেনি, যা মানুষকে উজ্জীবিত করতে পারে। ৭ মার্চে জাতির পিতার ভাষণ সেভাবেই মানুষকে উজ্জীবিত করছে।’
কাজেই দিবসটা পালন না শুধু, এটাকে অনুসরণ করে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে বলে উল্লেখ করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।
তার সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, ড. আব্দুর রাজ্জাক, শাজাহান খান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, শ্রম ও জনশক্তি সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ উত্তর ও দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি ও হুমায়ুন কবির।
সভার শুরুতে সূচনা বক্তব্য রাখেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। গণভবন প্রান্তে সভা পরিচালনা করেন দলের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ।