বাঘা প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর বাঘা উপজেলার মর্শিদপুর এলাকায় এক গৃহবধুর ঝুলন্ত লাশ নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল ১৭ ডিসেম্বর (বৃহষ্পতিবার) রশিতে ঝুলে ২০ বছর বয়সে এক গৃহবধূ আত্নহত্যা করেছে মর্মে এই রহস্যে সৃষ্টি।
জানা যায়, সরকারের বেঁধে দেওয়া বয়স সীমার আগেই শিলার বিয়ে দিয়েছিল পরিবার। প্রায় দুই বছর আগে তার বিয়ে হয়েছিল পৌরসভার মর্শিদপুর গ্রামের বাসিন্দা আজিজুলের ছেলে আরিফুলের সাথে। বিয়ের ২ বছর পর অস্বাভাবিক মৃত্যু হলো তার। স্বামীর বাড়ির কক্ষে গলায় রশির ফাঁস দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় শিলাকে উদ্ধার করে বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটায় স্বামী আরিফুল তাকে বাঘা হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেয়। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক শিরিন আকতার পরীক্ষার পর তাকে মৃত ঘোষনা করেন। অস্বাভাবিক মৃত্যুর খবরটি পুলিশকে দেওয়ার কথা শুনে, স্ত্রীর মরদেহ হাসপাতালে রেখে শটকে পড়ে স্বামী আরিফুল ও তার পরিবারের লোকজন।
হাসপাতাল সুত্রে খবর পেয়ে শিলার মরদেহ সেখান থেকে উদ্ধার করে থানায় নেয় পুলিশ। তাৎক্ষনিক মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে কিছুই জানা যায়নি। শিলা বাঘা পৌরসভার মিলিকবাঘা গ্রামের বাসিন্দা আবুর মেয়ে। এদিকে আত্নহত্যা করেছে বলে,মরদেহ হস্তান্তরের দাবি করা হলেও মৃত্যু রহস্য উদঘটনে তা মানতে রাজি হয়নি পুলিশ।
অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নজরুল ইসলাম জানান, মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্নয়ের জন্য ময়না তদন্ত করা হবে। এ ব্যপারে ইউডি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানান ওসি