নিজস্ব প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর বাঘায় ফিরোজ ইসলাম (৩২) নামের এক যুবক কর্তৃক গৃহবধূ ধর্ষণের শিকার হয়েছে। শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ওই গৃহবধূ উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের পীরগাছা সরকারপাড়া গ্রামের আতিকুর রহমানের স্ত্রী।
জানা যায়, দুই সন্তানের জনক ফিরোজ ইসলাম। সে একই গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে। ফিরোজ ওই নারীর দূরসম্পর্কের দেবর। কাছাকাছি বাড়ি হওয়ার সুবাদে আতিকের বাড়িতে আসাযাওয়া করতো ফিরোজ। আতিক একজন শারীরিক প্রতিবন্ধী। সে তেঁথুলিয়া বাজারের একটি দোকানে কর্মরত। আতিকুর রহমানের প্রতিবন্ধকতার সুযোগ নিয়ে শনিবার সন্ধ্যায় আতিকের শয়ন কক্ষে প্রবেশ করে ওই গৃহবধূকে ধর্ষণ করে। এ সময় স্থানীয় লোকজন হাতে নাতে ধরে তাদের আটকে রেখে থানায় খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। এ ঘটনায় ওই গৃহবধু বাদী হয়ে বাঘা থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, গত ২ মাস আগে ফিরোজ এই গৃহবধূ কে জড়িয়ে সুমন নামের এক যুবকের নামে কুৎসা রটিয়ে মারধরের শিকার হয়। এতে তার দুটি দাঁত ভেঙ্গ যায়। পরে ফিরোজ থানায় মামলা দায়ের করে। এ ঘটনায় স্থানীয় শালিসে আপোষ মিমাংসায় সুমনের কাছ থেকে ২ লক্ষ টাকা জরিমানা আদায় করে ফিরোজ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যাক্তি জানান, ফিরোজ এলাকা জুড়ে নানা অপকর্মে জড়িত। সে চুরি ও পরোকীয়ায় লিপ্ত। তার অত্যাচারে অতিষ্ট এলাকাবাসী।
এ বিষয়ে বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) সবুজ রানা বলেন, ফিরোজ ইসলাম কে আসামী করে একটি ধর্ষণ মামলা হয়েছে। বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে আসামীকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। ভুক্তভোগী গৃহবধূ কে পরিক্ষার জন্য রামেক হাসপাতালের ওসিসিতে প্রেরণ করা হয়েছে।