বঙ্গবন্ধু বীমা কোম্পানিতে চাকরি করতেন, আমার জন্যও বীমা কোম্পানিতে যেন চাকুরী থাকে, প্রধানমন্ত্রী ।

আভা ডেস্কঃ বঙ্গবন্ধু বীমা কোম্পানিতে চাকরি করতেন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বীমা করা থাকলে দুঃসময়ে মানুষ সাহায্য পায়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বীমা কোম্পানিতে চাকরি করতেন। আমার জন্যও বীমা কোম্পানিতে যেন একটি চাকরি থাকে।

রোববার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনকেন্দ্রে বীমা দিবস-২০২০’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় জড়িয়ে কারাবন্দি করা হয়। জনগণের আন্দোলনের মুখে আইয়ুব খান সেই মামলা প্রত্যাহার করেন। বঙ্গবন্ধু মুক্তি পেলে একটি ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি থেকে তাকে চাকরির প্রস্তাব দেয়া হয়। রাজনীতির পাশাপাশি তিনি জীবন-জীবিকার জন্য ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিতে কাজ করেছেন। তাই তিনি বীমার গুরুত্ব জানতেন। এ জন্য ৪৯টি বীমা কোম্পানিকে তিনি জাতীয়করণ করেন। পরে তিনি বীমা কর্পোরেশনের উন্নয়নে আইন প্রণয়ন করেন।

‘আমার বাবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আলফা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিতে চাকরি করতেন। সে হিসাবে আমরা বীমা পরিবারের একজন সদস্য। যেহেতু পাকিস্তানি শাসকরা বঙ্গবন্ধুকে রাজনীতি করতে দিতেন না, সে কারণে তিনি আলফা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিতে ইন্স্যুরেন্স কন্ট্রোলার হিসেবে চাকরিতে যোগদান করেন। ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির প্রচার চালাতে দেশব্যাপী তাকে ঘুরতে হয়। সে সুবাদে তিনি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন’-যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।

দেশের মানুষ বীমার বিষয়ে এখনও সচেতন নয় জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে বীমা নিয়ে মানুষের মধ্যে সচেতনতা কম। মানুষের মধ্যে বীমা নিয়ে অনীহা। তাই তাদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। বীমার গুরুত্ব বোঝাতে হবে।

তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর দেখেছি, পাটের গুদামে আগুন লাগত, আর ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির টাকা হাতিয়ে নেয়া হতো। গার্মেন্টসে আগুন লাগানো হতো ইন্স্যুরেন্সের টাকা খাওয়ার জন্য। পরে আমি গোয়েন্দা সদস্যদের লাগিয়ে দিয়ে দেখলাম, কিছু কিছু মানুষ ধরাও পড়ল। এ জন্য বীমা কোম্পানিতে সৎ লোক নিয়োগ দিতে হবে। যেন বীমার টাকা প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিরা পান।

শেখ হাসিনা বলেন, বীমার মাধ্যমে বহু মানুষের কর্মসংস্থান হতে পারে। বীমা একাডেমিতে লেখাপড়া করে দক্ষ মানবসম্পদ সৃষ্টি হতে পারে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বীমাকে আমরা জনগণের দোরগোড়ায় অর্থাৎ গ্রাম পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার অনুরোধ করছি। শিক্ষাবীমা, শস্যবীমা, স্বাস্থ্যবীমা, গার্মেন্টস শ্রমিকসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বীমা করা যেতে পারে। যে বীমার মাধ্যমে দুঃসময়ে গরিব মানুষগুলো বিরাট সাফল্য পাবে।

উল্লেখ্য, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৬০ সালের ১ মার্চ তৎকালীন পাকিস্তানের আলফা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিতে যোগ দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর বীমা খাতে যোগদানের দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে গত ১৫ জানুয়ারি বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআর) অনুরোধে ১ মার্চকে ‘জাতীয় বীমা দিবস’ ঘোষণা করেছে সরকার।

Next Post

রাজশাহী নগর আ.লীগের নেতৃত্বে ফের লিটন-ডাবলু

রবি মার্চ ১ , ২০২০
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের আবারও সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। এছাড়া আবারও সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন ডাবলু সরকার। সদ্যবিলুপ্ত কমিটিতেও তারা এ পদে ছিলেন। রবিবার দুপুর দুইটায় রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক হিসেবে লিটন-ডাবলুর নাম ঘোষণা করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল […]

এই রকম আরও খবর

Chief Editor

Johny Watshon

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore magna aliqua. Ut enim ad minim veniam, quis nostrud exercitation ullamco laboris nisi ut aliquip ex ea commodo consequat. Duis aute irure dolor in reprehenderit in voluptate velit esse cillum dolore eu fugiat nulla pariatur

Quick Links