আভা ডেস্কঃ পুলিশ হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগে বিমানবন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বি. এম. ফরমান আলী এবং উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাহবুব হোসাইনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা খারিজ করে দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (১৪ অক্টোবর) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ মামলাটি খারিজের আদেশ দেন।
এর আগে আদালতে মামলাটি দায়ের করেন নির্যাতনের শিকার শামীম হোসাইনের স্ত্রী সালেহা সুলতানা সোমা।
সংশ্লিষ্ট আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল এ তথ্য জানান।
মামলায় বাদী অভিযোগ করেন, গত ১০ অক্টোবর বিমানবন্দর থানার একটি মামলায় শামীম হোসাইন ও জনৈক আসাদ নামের একজনকে গ্রেপ্তার করে রাত ৯টায় থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পরে ফরমান আলীর নির্দেশে মাহবুব হোসাইন তাদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে অমানবিক নির্যাতন করেন স্বীকারোক্তি আদায়ের জন্য। এতে তারা মারাত্মকভাবে আহত হন। পরদিন তাদের আদালতে পাঠানো হলে তাদের পক্ষে আইনজীবী নির্যাতনের কথা বর্ণনা করে নির্যাতন এবং মৃত্যু (নিবারণ) আইন ২০১৩ এর বিধি অনুযায়ী ভিকটিমদের বিবৃতি রেকর্ড করার আবেদন করেন। আদালত ভিকটিমদের খাসকামড়ায় নিয়ে পরনের কাপড় খুলে শরীরের নিচের দিকে তাদের মারধর এবং আঘাতের চিহ্ন দেখতে পান। তবুও আদালত বি.এম. ফরমান আলীর সুপারিশ করা মাহবুব হোসাইনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
দুই জনকে হেফাজতে নেওয়ার পরপরই শামীম হোসাইন শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকে উত্তরা ১ নং সেক্টরে অবস্থিত মহিলা মেডিক্যাল কলেজে নেওয়া হয়। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ১২ অক্টোবর তাকে আদালতে পাঠানো হয় এবং আসাদকে ওইদিন আদালতে না পাঠিয়ে নির্যাতন করে জোরপূর্বক স্বীকারোক্তি আদায়ের জন্য পরদিন আদালত পাঠান।
শামীম হোসাইন গত ১০ অক্টোবর থেকে ১২ অক্টোবর ফরমান আলী এবং মাহবুব হোসাইনের হেফাজতে থাকা অবস্থায় নির্যাতনের শিকার হয়ে কারাগারে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। এ অবস্থায় তৃতীয় ব্যক্তি হয়ে শামীম হোসাইনের স্ত্রী সালেহা সুলতানা আদালতে মামলাটি দায়েরের আবেদন করেন।