আভা ডেস্কঃ পিরোজপুরে পাশের উপজেলা থেকে মঠবাড়িয়ায় ঘুরতে এসে গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন দুই কলেজ ছাত্রী। বৃহস্পতিবার রাতে নির্যাতিত ওই দুই কলেজ ছাত্রীকে উদ্ধার করে মঠবাড়িয়া থানা পুলিশ। এ ঘটনায় থানায় একটি গণধর্ষণের মামলা করেছে ভুক্তভোগীদের পরিবার এবং এরই মধ্যে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করছেন মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মাসুদ্দুজামান মিলু।
ভুক্তভোগী ওই দুই কলেজ ছাত্রী জানান, বরগুনা জেলার বামনা উপজেলার ডৌয়াতলা গ্রামের দুই কলেজ ছাত্রী বৃহষ্পতিবার সকালে স্থানীয় হলতা ডৌয়াতলা ওয়াজেদ আলী খান ডিগ্রি কলেজে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য কাগজপত্র জমা দেন। জমা শেষে দুপুরে প্রতিবেশী সহপাঠী সোহাগ খান (২০) ও শাহাদাতকে (২১) নিয়ে মঠবাড়িয়া উপজেলা থেকে ভান্ডারিয়ার উপজেলার হরিনপালা ইকোপার্কে ঘুরতে যাচ্ছিলেন। পথে তাদের বহনকারী ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকটি স্থানীয় উত্তর মিঠাখালী (মাঝেরপুল) এলাকায় নষ্ট হয়।
এসময় স্থানীয় মিঠাখালী গ্রামের খলিলুর রহমানের পুত্র বখাটে মাদকসেবী রানা (৩৫), কালামের পুত্র মারুফ (২২), ছিদ্দিক ফরাজীর পুত্র সোহাগ (২২), উত্তর মিঠাখালী গ্রামের জাহাঙ্গির হোসেন ওরফে কালুর পুত্র আবু বক্কার সাগর (২৩) তাদেরকে ধরে স্থানীয় আর্শেদ মিয়ার বাড়ির সামনে সরকারি পুকুর পাড়ে নিয়ে ওই দুই ছাত্রীকে মারধর করে মোবাইল, টাকা পয়সা ছিনিয়ে নিয়ে যায় এবং দুই ছাত্রীকে গণধর্ষণ করে।
পরে কলেজ ছাত্রীর অভিভাবকদের কাছে মোবাইলে ফোন করে ১৫ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। এ ঘটনা শুনে ওই ছাত্রীদের অভিভাবক মঠবাড়িয়া থানা পুলিশকে জানালে পুলিশ গিয়ে তাদেরকে রাতে উদ্ধার করে মঠবাড়িয়া থানায় নিয়ে আসে।
এ ঘটনায় ওই দুই ছাত্রীর মধ্যে এক কলেজ ছাত্রীর পরিবার মঠবাড়িয়া থানায় ৪ জনের নামে মামলা দায়ের করে।
শুক্রবার মঠবাড়িয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাসান মোস্তফা স্বপন ও মঠবাড়িয়া থানা ওসি মাসুদুজ্জামানের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে উপজেলার উত্তর মিঠাখালী গ্রাম থেকে জাহাঙ্গির হোসেনের পুত্র আবু বক্কার সাগরকে (২৩) গ্রেপ্তার করে।
এ বিষয়ে মঠবাড়িয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাসান মোস্তফা স্বপন জানান, খবর পেয়ে সেখান থেকে মেয়ে দুজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের শারীরিক পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে এবং একজন এজাহারভুক্ত আসামি গ্রেপ্তার আছে।
