নিজস্ব প্রতিনিধিঃ রাজশাহী পশ্চিম রেলওয়ের অর্থ ও হিসাব শাখার হিসাব রক্ষক কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে কমিশন নিয়ে ঠিকাদারী কাজের বিল পাশের অভিযোগ উঠেছে।
পশ্চিম রেলওয়ের সকল কাজের বিল দেওয়া হয় অর্থ ও হিসাব শাখা থেকে, আর এই হিসাব শাখায় বিল প্রত্যাশিদের গুনতে হয় কমিশন। এমন অভিযোগ করে অনেক ঠিকাদার বলেন, উক্ত দপ্তরের হিসাব রক্ষক কামাল হোসেন ১% কমিশনের প্রতিটি কাজের বিল পাশ করেন, অন্যথায় ফাইল ছাড়েন না তিনি। তার যোগদানের পর থেকে এ পযর্ন্ত বিভিন্ন কাজের অর্থকোটি টাকার কমিশন নিয়েছেন তিনি। একই অভিযোগ ছিল উক্ত দপ্তরের অর্থ উপদেষ্টা ও প্রধান হিসাব কর্মকর্তা জামশেদ মিনহাজ রহমানের বিরুদ্ধে। যদিও প্রধান হিসাব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পর তাকে অন্যাত্র বদলি করেছে সংশ্লিষ্ট দপ্তর প্রধান। তার বিরুদ্ধে হওয়া সংবাদের তদন্ত চলমান রয়েছে। কিন্তু এই প্রধান হিসাব কর্মকর্তার মূল হাতিয়ার অঘোষিত ক্যাশিয়ার কমিশনভুগি কামাল হোসেন রয়েছে বহালতবিয়তে। দূর্নীতিবাজ প্রধান হিসাব কর্মকর্তার সকল অনিয়মে সমভাবে অংশগ্রহন ছিল হিসাব রক্ষক কামাল হোসেন।
নাম না প্রকাশে অনেচ্ছুক কিছু ঠিকাদার বলেন, ১% কমিশন সে নিজের জন্য নেয়। উদ্ধর্তন অফিসারের নামে নেয় ২ থেকে ৩ পারসেন কমিশন। কমিশন না দিলে করেন হয়রানি। সম্প্রতি তিনটি কাজে প্রায় ৫ লক্ষ টাকা কমিশন নিয়েছেন তিনি।
এ বিষয়ে কথা বলতে কামাল হোসেনকে ফোন দিলে তিনি বলেন, আমি কোন কমিশন নেই না। আমার বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগ মিথ্যা।