আভা ডেস্কঃ মারধর, বিভিন্ন ধরনের হুমকি ও যৌন হয়রানির মামলায় পুলিশের দেয়া অভিযোগপত্রের বিরুদ্ধে চিত্রনায়িকা পরীমনির দেয়া নারাজির আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।
সে সঙ্গে নাসির উদ্দিন মাহমুদ, তুহিন সিদ্দিকী অমি ও শহিদুল আলমের বিরুদ্ধে পুলিশের দেয়া অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে পলাতক শহিদুলের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
সোমবার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৯ এর বিচারক মোহাম্মদ হেমায়েত উদ্দিনের আদালত এ আদেশ দেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার শামসুল হাসান জানান, শহিদুল আলম পলাতক থাকায় আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। সে সঙ্গে আদালত আগামী ৩ মার্চ শহিদুল আলমের গ্রেপ্তারসংক্রান্ত প্রতিবেদন জমার তারিখ নির্ধারণ করে দেয়।
পরীমনির আইনজীবী নিলাঞ্জনা রিফাত সুরভী দৈনিক বাংলাকে জানান, শুটিং থাকার কারণে পরীমনি আদালতে আসতে পারেননি। তবে আজ আদালতে না আসার কারণে মামলার কোনো ক্ষতি হবে না। নারাজি আবেদন নামঞ্জুর করলেও আদালত নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১০/৩০ ও দণ্ডবিধির ৩২৩/৫০৬ ধারায় আমলে নিয়েছে।’
১ ডিসেম্বর পরীমনি আদালতে হাজির হয়ে নারাজি জমা দেন।
গত ৬ সেপ্টেম্বর মামলায় নাসির উদ্দিন মাহমুদ, তুহিন সিদ্দিকী অমি এবং শহিদুল আলম নামের আরেক ব্যক্তিকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র জমা দেয় তদন্ত কর্মকর্তা সাভার মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কামাল হোসেন।
গত ১৪ জুন সাভার থানায় ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিনসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন চিত্রনায়িকা পরীমনি।
মামলার পর অভিযানে নামে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। ওই দিনই নাসির উদ্দিনসহ পাঁচজনকে উত্তরার একটি বাসা থেকে আটক করে ডিবি পুলিশ। অভিযানে ওই বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ মদ-বিয়ার ও ইয়াবা জব্দ করা হয়।
পরের দিন রাত ১২টা ৫ মিনিটে ডিবির গুলশান জোনাল টিমের উপপরিদর্শক (এসআই) মানিক কুমার শিকদার বাদী হয়ে রাজধানীর বিমানবন্দর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন।