“পরিদর্শকের বিরুদ্ধে টাকা আদায়সহ নানা অভিযোগ” শিরোনামে পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ।

আভা ডেস্কঃ প্রকাশিত প্রথম আলো পত্রিকার ১৮ অক্টোবর ২০২০ ইং ৬ পাতার ২ কলামে যে সংবাদটি রাজশাহী কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের পরিদর্শক (শ্রম সাধারন) আজাহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে যে সকল তথ্য উপাত্ত দেওয়া হয়েছে তা সম্পুর্ণ মিথ্যা বানোয়াট ভিত্তিহীন। আমি উক্ত সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তিযুক্ত ব্যাখ্যাসহ সঠিত তথ্য প্রদান করিলাম।

প্রকাশিত সংবাদে নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী সংবাদের প্রেক্ষিতে প্রকৃত ঘটনা উল্লেখ করা হলো । প্রতিবেদক উল্লেখ করেছেন যে, লাইসেন্স করে দেওয়ার কথা বলে টাকা আদায় করা এবং কর্ম এলাকার বাহিরে ব্যবসায়ীদের হয়রানির অভিযোগ পেয়েছেন । কোন তথ্যের ভিত্তিতে কোন কোন কারখানা/প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স করে দেওয়ার কথা বলে টাকা গ্রহণ করা হয়েছে এবং কর্ম এলাকার বাহিরে কোন কোন ব্যবসায়ীদের হয়রানির অভিযোগ তিনি পেয়েছেন তাহা তিনি প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন নাই । এ ছাড়া তিনি আরো উল্লেখ করেছেন যে, অর্ধশতাধিক প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স এনে নিজের কাছে রেখে দেওয়ার বিষয়ে তিনি কোন প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স আমি এনেছি এবং সেই সকল প্রতিষ্ঠানের নিকট লাইসেন্স আমার কাছে জমা দেওয়ার ডকুমেন্টটারী প্রমান বা দলিলিক প্রমান আছে কিনা তিনি প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন নাই । তিনি আরো উল্লেখ করেছেন যে, উপমহাপরিদর্শকের নিকট থেকে কারণ দর্শানোর নোটিশের কপি তিনি পেয়েছেন । কারণ দর্শানোর নোটিশ গত ১৮/১০/২০২০ খ্রি. তারিখে আমাকে প্রদান করা হয়। অথচ আমি কারণ দর্শানোর নোটিশ পাওয়ার পূর্বেই প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিনিধিকে কপি প্রদান করা বা তথ্য দেওয়া বিধি সম্মত নয়। বর্তমান উপমহাপরিদর্শক ১৮/০৩/২০১৯ খ্রি. তারিখে রাজশাহী দপ্তরে যোগদান করেন। তিনি ০৮ মে ২০১৯খ্রি. তারিখের স্বারক নং- ৪০.০১.৮১০০.১০১.০৫.০০৩.১৮.১৯.১৯৯৪ (৭) নং আদেশে তিনটি টিমের মধ্যে এলাকা বন্টন করে । পরবর্তীতে ২৪ ডিসেম্বর ২০১৯খ্রি. তারিখের ৪০.০১.৮১০০ .১০১.২৩.০০১.১৮.১৭৯৪(৯) অফিস আদেশ দ্বারা পূনরায় চারটি টিমের মধ্যে কর্ম এলাকা বন্টন করেন এবং আমার টিমের নামে যে এলাকা দেওয়া হয় সেখানে কারখানা এবং দোকান প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা অন্যান্য শ্রম পরিদর্শকের তুলনায় অতি নগন্য এ বিষয়ে আমি উপমহাপরিদর্শক কে অফিস আদেশ পুনঃ বিবেচনার জন্য অনুরোধ করি। তিনি বিষয়টি বিবেচনা করবেন বলে জানান এবং এ বিষয়ে একটি লিখিত আবেদন করতে বলেন। তাঁর কথায় আমি বিষয়টি বিবেচনার জন্য লিখিত আবেদন করি। যাহা আজ পর্যন্ত তিনি বিবেচনা করেন নাই। প্রতিবেদক উল্লেখ করেছেন যে লাইসেন্স দেওয়ার নাম করে, কখনো নবায়ন দেওয়ার নাম করে লাইসেন্স সহ কাগজপত্র এবং অনৈতিক অর্থ নেওয়ার অভিযোগ তিনি পেয়েছেন। কিন্তু কোন কারখানা/প্রতিষ্ঠান থেকে লাইসেন্স গ্রহণ করা হয়েছে এর কোন দলিলিক প্রমান তার কাছে আছে কিনা তাহা উল্লেখ করেন নাই। গত ৪ এপ্রিল তাঁর কর্ম এলাকার বাহিরে ভোলাহাট একটি কারখানার লাইসেন্স নবায়ন করে দেওয়ার কথা বলে নিয়ে আসার বিষয়ে তিনি যে অভিযোগ করেছেন তাহা সম্পূর্ণ বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। প্রকৃত ঘটনা এই যে, উপমহাপরিদর্শক জনাব মোঃ মাহফুজুর রহমান ভূইয়া এবং তার স্ত্রী ও ছেলে মেয়ে সহ উল্লিখিত শ্রম পরিদর্শক (সাধারণ) গত ২০/০৬/২০২০ খ্রি. তারিখে আকিজ ফুড এন্ড বেভারেজ লিঃ, দলদলি ভোলাহাট, চাঁপাইনবাবগঞ্জ গমন করেন। তাদের লাইসেন্স এর মেয়াদ ২০১৯-২০২০ এর ৩০শে জুনে শেষ হবে বলে কারখানা কর্তৃপক্ষ জানান এবং উক্ত প্রতিষ্ঠানের মোঃ সারোয়ার হোসেন পরবর্তীতে উপস্থিত হয়ে চালানের টাকা সরকারী কোষাগাড়ে জমা দেওয়ার জন্য আমার সাহায্য চান এবং আমি তাকে চালান বাবদ ফি জমা করার সহায়তা প্রদান করি এবং লাইসেন্স নবায়নের আবেদনের প্রেক্ষিতে যেহেতু আমি উপমহাপরিদর্শকের সঙ্গে উল্লেখিত কারখানাটিতে গিয়েছিলাম সে কারনে আমাকে রিপোর্ট দিতে বলা হয় এবং নথি আমার নিকট শাখা সহকারী উপস্থাপন করেন। ফলে আমি উল্লেখিত তারিখ উল্লেখ করে রিপোর্ট দেই। উপমহাপরিদর্শক উক্ত কারখানার প্রতিনিধিকে লাইসেন্স প্রদান না করে ফেরত পাঠান এবং উক্ত কারখানার জনাব মারুফ ঢাকায় কর্মরত তার ঘনিষ্ট বন্ধুর সঙ্গে শলা পরামর্শ করে নতুন নাটকের অবতারণা করেন। যাহা একজন অফিস প্রধানের নিকট থেকে মোটেই কাম্য নয়। এছাড়া উপমহাপরিদর্শক প্রতিবেদকের কাছে তথ্য দিয়েছেন যে নওগাঁ চাউল কল মালিক সমিতির অর্ধশতাধিত লাইসেন্স নবায়নের জন্য নিয়ে এসে ফেরত দেওয়া হয়নি। সেগুলো কারখানা কোন কোন কারখানার লাইসেন্স নিয়ে আসা হয়েছে এবং লাইসেন্স নেওয়ার সমর্থনে দলিলিক প্রমান আছে কিনা তাহা তিনি উল্লেখ করেনি। ঢালাও ভাবে অভিযোগ এনেছেন। বদলগাছী উপজেলার উত্তরা কোল্ড ষ্টোরেজ তিনি পরিদর্শন করেছেন (উপমহাপরিদর্শক) হিমাগারটি মালিকানা পরিবর্তন হয়েছে এবং শ্রমিক সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে তাহা যেনে আমি নবায়নের জন্য সুপারিশ করেছি বলে যে অভিযোগ তিনি এনেছেন তাহা সত্য নয়। কারণ উল্লেখিত সময়ে কারখানার মালিক পরিবর্তন হয়েছে এমন কোন তথ্য কারখানা কর্তৃপক্ষ প্রকাশ করেন নাই। যে কোন কারখানার শ্রমিক হ্রাস বৃদ্ধি হওয়া অসাভাবিক নয়। বিগত বৎসর গুলিতে যত জন শ্রমিক কর্মরত ছিলেন সেই ভিত্তিতে নবায়নের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে। তিনি আরো উল্লেখ করেছেন যে দুই মাস আগে চার-পাঁচ জন লোকসহ ঐ হিমাগার পরিদর্শনের নামে লাইসেন্স নিয়ে আসা সত্য নয়। উল্লেখিত প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি রাজশাহী এসে চালান জমা দেন এবং পরবর্তীতে উপমহাপরিদর্শকের কথা মতো কর্তৃপক্ষের নাম পরিবর্তন সংক্রান্ত যাবতীয় কাগজপত্র এবং প্রয়োজনীয় চালান জমা দিয়েছেন। ইউনাইটেড প্লাষ্টিক ফ্যাক্টারীর মালিকের নিকট থেকে ৪টি লাইসেন্স গ্রহণের বিষয়ে উপমহাপরিদর্শক যে অভিযোগ করেছেন যে তাদের ৪টি লাইসেন্স নবায়নের জন্য আমাকে দেওয়া হয়েছে এই ধরনের কোন দলিলিক প্রমান তার কাছে রয়েছে বলে দাবি করা হয় নাই। এছাড়া মহাদেবপুর চাউল কল মালিক সমিতির দুইজন কর্মকর্তা তার কাছে অভিযোগ করেছেন বলে যে দাবি করা হয়েছে সেই দুইজন কর্মকর্তা কোন কোন কারখানার মালিক তাহা উল্লেখ করেন নাই। এবং তারা তাদের কারখান/প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স কখন কিভাবে আমাকে দিয়েছেন তাদের কাছে কোন বৈধ্য প্রমান আছে কিনা তাহা উল্লেখ করা হয় নাই। উপমহাপরিদর্শক প্রতিবেদকের নিকট অভিযোগ করেছেন যে ইতিপূর্বে এ ধরণের কর্মকান্ডের জন্য একবার বদলী করা হয়েছিল। তার বক্তব্য উদ্দেশ্য প্রনোদিত। কারন এ ধরনের কোন অভিযোগের কারনে আমার বদলী হয়েছে এমন কোন প্রমানাদী তার কাছে নাই। একজন সরকারী কর্মকর্তা/কর্মচারী জনস্বার্থে যে কোন কর্মস্থলে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ বদলী করতে পারেন। আমাকে যে কর্মকর্তা বদলী করেছেন সেই কর্মকর্তা পূনরায় বিষয়টি বিবেচনা করে আমার জন্মস্থল নাটোর জেলা নিকটবর্তী জেলা হিসাবে রাজশাহী দপ্তরে বদলী করেছেন। যেহেতু আমি চার বছর পর চুড়ান্ত অবসরে যাবো সেই দিক বিবেচনা করে কর্তৃপক্ষ বিষয়টি পুনঃ বিবেচনা করেছেন। উপমহাপরিদর্শক প্রতিবেদকের নিকট মতামত দিয়েছেন যে আমাকে তিনি বিভিন্ন সময় সতর্ক করেছেন। তিনি কখন কিভাবে সতর্ক করেছেন তা বোধগম্য নয়। তিনি আরো উল্লেখ করেছেন যে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন গণমাধ্যমে লিখা প্রকাশ করার বিষয়ে তাঁর কাছে বৈধ কোন প্রমান আছে কিনা তিনি উল্লেখ করেন নাই। আমি সুদীর্ঘ প্রায় ৩৫ বছর চাকুরী জীবনে বিভিন্ন উদ্ধর্তন কর্মকর্তাগনের সঙ্গে সুনামের সহিত দায়িত্ব পালন করে আসছি। এই ধরণের কোন অভিযোগ আমার বিরুদ্ধে নাই। উপমহাপরিদর্শক প্রতিবেদকের কাছে আরো বলেছেন যে আমি নাকি তাহাকে বদলীর চেষ্টা করছি। তিনি নিশ্চয়ই জানেন যে, তাঁকে বদলী করার ক্ষমতা আমার নাই। তাঁকে বদলী করার ক্ষমতা একমাত্র মন্ত্রনালয়ের রয়েছে। আমি একজন দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তা হয়ে কি করে তাঁকে বদলী করাতে পারি তাহা বোধগম্য নয়। তিনি নিজে দোষ মুক্ত থেকে সু-কৌশলে আমার উপর মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন অভিযোগ করেছেন। সরকারী কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ [এসআরও নং ১১০-আইন/২০১৮, তারিখঃ ১২-০৪-২০১৮খ্রিঃ] ২ নং সংজ্ঞার (গ) অনুচ্ছেদে ‘কর্তৃপক্ষ’ অর্থ নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ অথবা কর্তৃপক্ষের উর্দ্ধতন কোন কর্মকর্তা ছাড়া অধস্তন কোন কর্তৃপক্ষ সরকারী কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর অধিনে নিয়োগকারী ছাড়া কোন অভিযোগের বিষয়ে সরাসরি কারণ দর্শানো বা কোন কার্য ধারার নোটিশ প্রেরন করা এবং তা গণমাধ্যমে প্রকাশ করার এখতিয়ার নাই। এ ধরণের কর্মকান্ডের জন্য আমার ৩৫ বছর চাকুরী জীবনের সুনাম ক্ষুন্ন করা হয়েছে এবং সমাজে হেয় করা হয়েছে।

মোঃ আজহারুল ইসলাম

শ্রম পরিদর্শক (সাধারণ)

কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর রাজশাহী ।

 

 

Next Post

গত ২৪ ঘন্টায় রাজশাহী মহানগর পুলিশের অভিযানের আটক-৬১ ।

মঙ্গল অক্টো. ২০ , ২০২০
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ গত ২৪ ঘন্টায় রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের অভিযানে মোট ৬১ জনকে আটক করা হয়েছে। রাজশাহী মহানগরীর থানা ও ডিবি পুলিশ মহানগরীর বিভিন্নস্থানে অভিযান চালিয়ে বোয়ালিয়া মডেল থানা-১২ জন, রাজপাড়া থানা-১৪ জন, চন্দ্রিমা থানা-০৪ জন, মতিহার থানা-০৫ জন, কাটাখালী থানা-০৪ জন, বেলপুকুর থানা-০৫ জন, শাহমখদুম থানা-০১ জন, এয়ারপোর্ট থানা-০২ জন, […]

Chief Editor

Johny Watshon

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore magna aliqua. Ut enim ad minim veniam, quis nostrud exercitation ullamco laboris nisi ut aliquip ex ea commodo consequat. Duis aute irure dolor in reprehenderit in voluptate velit esse cillum dolore eu fugiat nulla pariatur

Quick Links