মাজহারুল ইসলাম চপল, রাজশাহীঃ অনিয়ম দূর্নীতির মধ্যে নিম্নমানের জিনিসপত্র দিয়ে তৈরী হচ্ছে ড্রেন নির্মানের কাজ । কেশরহাট পৌরসভার আওতায় চলছে ড্রেন নির্মানের এই কাজটি । কাজটি করছে এম এম এন্টারপ্রাইজের মালিক হাসনাত ।কাজটি বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর বিস্তর অভিযোগ । সকল অভিযোগ উপেক্ষা করে, পৌর মেয়রকে ম্যানেজ করেই নিম্নমানের কাজ করছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি ।
দীর্ঘদিন ধরে নানা অনিয়ম ও অভিযোগের বোঝা মাথায় নিয়ে ব্যস্তসময় পার করছে রাজশাহীর কেশরহাট পৌরসভার কর্মকর্তারা। তবুও কোন কিছুকে তোয়াক্কা না করে হরহামেশায় চলেছে নয় ছয় কাজ । দীর্ঘদিনের অভিযোগের আলোকে কেশরহাট পৌরসভা এলাকায় যায় মিডিয়াকর্মীরা। সরেজমিনে চোখে পড়ে কেশরহাট বাজারের ড্রেন নির্মানের কাজ। ড্রেন নির্মানে কাজ করা রাজমিস্ত্রির সাথে কথা বলা হয়। জানা যায় ড্রেন নির্মান কাজের বিবরণী। রাজমিস্ত্রির কথা অনুযায়ী ড্রেনটি হচ্ছে দৈর্ঘ্য ২০৫০ এবং উচ্চতা হচ্ছে ১.১০০মিটার এছাড়াও এখানে যে রড ব্যাবহার হচ্ছে ২ সুদ অর্থাৎ ৮ মিলিমিটার। রডগুলো বসানোর হচ্ছে ৬ ইঞ্চি পরপর ।
কেশরহাট পৌরসভার কাজ বিষয়ে এলাকাবাসি বলেন, কেশরহাট পৌরসভার কাজ মানেই নয়-ছয় এটা সবাই জানে। তাদের অনিয়ম আর দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলতে গেলে নানা ভাবে হয়রানিসহ দলীয় ক্ষমতায় লাঞ্চিত হতে হয়। তাই নিজের সম্মানের দিক চিন্তা করে কেউ আর মুখ খুলেনা। এলাকাবাসির অভিযোগ আর নিম্নমানের কাজ বিষয়ে মিডিয়াকর্মীরা যায় পৌরসভার সহকারি প্রকৌশলী সরদার জাহাঙ্গির আলমের নিকট। প্রকৌশলী জাহাঙ্গির আলমরে নিকট জানতে চাওয়া হয় ড্রেন নির্মান কাজের বিবরণী বা ওয়ার্ক অর্ডার সম্পর্কে। তিনি সরাসরি নাকচ করে বলেন আমি কোন তথ্য দিতে পারবোনা। আপনার জানার থাকলে আপনি মেয়র সাহেবের নিকট যান। তার কাছে সকল তথ্য আছে। সেখান থেকে বেরিয়ে পৌর মেয়র শহিদুজ্জামান শহিদের নিকট যাওয়া হয় । মেয়র শহিদের নিকট সাংবাদিক পরিচয় দিতেই তিনি উত্তেজিত হয়ে পড়েন। তিনি বলেন, আমরা টাকা পয়সা খরচ করে নির্বাচিত হয়েছি। আমরা যে কাজই করি আপনাদের সমস্যা কোথায়? কাজ নিয়ে আসতে টাকা লাগে । তাই কাজ একটু আধটু নয় ছয় হবেই। এছাড়াও তিনি সাংবাদিকদের নিয়ে অশালীন মন্তব্য করেন।
এরপর জানতে চাওয়া হয় কেশরহাট-ভাবনীগঞ্জ রাস্তার ড্রেন নির্মান কাজের বিষয়ে। মেয়র বলেন আমি জানিনা আমার ইঞ্জিনিয়ার জানে। পরে ডাকা হয় ইঞ্জিনিয়ার জাহাঙ্গির আলমকে। ইঞ্জিনিয়ার জাহাঙ্গির আলমের নিকট জানতে চাইলে বলেন, ড্রেন নির্মান হচ্ছে ১৮০ মিটার দৈর্ঘ্য, উচ্চতা হবে ৩ ফুট এবং রড ৩ সুদ। তার নিকট জানতে চাওয়া হয় এই কাজ কোন ঠিকাদার করছে তিনি বলতে আমতা আমতা করলেও পরে এম এম রহমান এন্টার প্রাইজের কথা বলেন। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এম এম এন্টার প্রাইজ এর সত্তাধিকার হাসনাত সাহেবের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
তবে মিস্ত্রি সাথে প্রকৌশলীর তথ্যের কোনটার মিল নেই । তাহলে এখন জানার বিষয় যে সরেজমিনে কাজ করছে তার তথ্য সঠিক নাকি, এসি রুমে বসে কাগজ কলমে হিসাব দেখছে সেটা সঠিক?