আভা ডেস্কঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নৌবাহিনীর উন্নয়ন কার্যক্রমে বর্তমান সরকার সবসময় আন্তরিক ও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
বৃহস্পতিবার (৫ নভেম্বর) সকালে গগণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে নৌবাহিনীর জাহাজ বানৌজা ওমর ফারুক, আবু উবাইদাহ, প্রত্যাশা, দর্শক এবং তল্লাশির কমিশনিং অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে এ কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ বাংলাদেশ নৌবাহিনী তার ক্রমাগত অগ্রযাত্রায় আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল। দিনটি শুধু বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জন্য নয়, সমগ্র দেশ ও জাতির জন্য অত্যন্ত গৌরবের।
তিনি আরও বলেন, আধুনিক সমরাস্ত্র সজ্জ্বিত দুইটি ফ্রিগেট ও একটি অত্যাধুনিক করভেট এবং আমাদের নিজস্ব খুলনা শিপইয়ার্ডে তৈরি দুটি আধুনিক জরিপ জাহাজ বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় নৌবাহিনীর ক্ষমতাকে আরও জোরদার করবে এটাই আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস।
এর আগে চট্টগ্রামে বানৌজা ঈসা খান নৌ জেটিতে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল এম শাহীন ইকবাল জাহাজের অধিনায়কদের হাতে কমিশনিং ফরমান তুলে দেন। পরে প্রধানমন্ত্রী নৌবাহিনীর রীতি অনুযায়ী আনুষ্ঠানিকভাবে নামফলক উন্মোচন করেন।
অনুষ্ঠানে নৌবাহিনীর একটি সুসজ্জিত চৌকষ দল গার্ড অব অনার ও প্রদান করেন।
সদ্য সংযোজিত হওয়া নৌবাহিনীর দুটি ফ্রিগেট ‘ওমর ফারুক’ ও ‘আবু উবাইদাহ’র দৈর্ঘ্য প্রতিটির ১১২ মিটার ও প্রস্থ ১২ দশমিক ৪ মিটার এবং করভেট যুদ্ধজাহাজ বানৌজা প্রত্যাশার দৈর্ঘ্য ৯০ মিটার ও প্রস্থ ১১ দশমিক ১৪ মিটার। যুদ্ধজাহাজগুলো ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২৫ নটিক্যাল মাইল বেগে চলতে সক্ষম এবং এতে শক্রু বিমান, জাহাজ এবং স্থাপনায় আঘাত হানতে সক্ষম আধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন কামান, ভূমি থেকে আকাশে এবং ভূমি থেকে ভূমিতে উৎক্ষেপণযোগ্য মিসাইল, অত্যাধুনিক থ্রিডি রাডার, ফায়ার কন্ট্রোল সিস্টেম, রাডার জ্যামিং সিস্টেমসহ বিভিন্ন ধরনের যুদ্ধ সরঞ্জামে সুসজ্জিত।
সূত্র: বাসস