নিরাপত্তা ও প্রতিকার চেয়ে পুলিশ কমিশনার বরাবর অভিযোগ ।

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর কাঁটাখালি থানার শ্যামপুর পশ্চিমপাড়ার আকবর আলীর ছেলে শরিফুল ইসলাম (৪২) ডিবির ওসি খায়রুল ইসলামে বিরুদ্ধে আর.এম.পি কমিশনার ও ডিআইজি বরাবরে অভিযোগ দিয়েছেন।

গতকাল সকালে তিনি এই অভিযোগ প্রদান করেন। অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন চলতি বছরের গত জুলাই মাসের ২৭ তারিখ দুপুর ১২টার দিকে ডিবির অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খায়রুল ইসলাম তার সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে কোন প্রকার কারণ ছাড়াই তার স্ত্রী মালাকা বেগম, বড় মেয়ে নুপুর ও ছোট মেয়ে সুকতারাকে আটক করে। বিষয়টি তিনি মোবাইল মারফত জানতে পারেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশ বলেন, তোর বাড়ি থেকে ইয়াবা ও হেরোইন উদ্ধার করা হয়েছে।

শরিফুল বলেন, তার বাড়িতে কোন প্রকার হেরোইন ও ইয়াবা পাওয়া যায়নি। পাশের লোকজন তা জানে বলে অভিযোগে উল্লেখ করেন তিনি। এরপর ওসি তিন লক্ষ টাকা দাবী করে তার নিকট লোক পাঠায়। টাকা না দিলে সবাইকে উঠিয়ে নিয়ে গিয়ে মামলা দেয়ার হুমকী দেন। তিনি পরিবারের কথা চিন্তা করে কামরুল নামের একজনের মাধ্যমে ওসির সাথে কথা বলে সকলকে ছেড়ে দেয়ার কথা বলেন।

কামরুল ওসির সাথে কথা বলে জানান, ১লক্ষ ৩০হাজার টাকা দিলে ওসি সবাইকে ছেড়ে দেবে এবং কোন প্রকার মামলা দেবেনা। এই টাকা দেয়ার কথা স্বীকার করে তিন দিন সময় নিয়ে বাড়ির দুই কাঠা জমি বিক্রি করে এবং স্ত্রীর গলার সোনার হার বন্ধক রেখে ওসি খায়রুলকে নিজ বাড়িতে ডেকে এনে এক লক্ষ ত্রিশ হাজার প্রদান করেন।

এসময়ে পরিবারের সবাই উপস্থিত ছিলো এবং আশে পাশের লোকজনও জানে বলে উল্লেখ করা হয়। ওসি এই বিষয়টি কাউকে না জানানোর জন্য শাসিয়ে যান। সেইসাথে কেউ জানলে তুলে নিয়ে মামলা দেবে বলে ভয় দেখান। ওসির ভয়ে তিনি এতদিন কাউকে কিছু বলেন নি। কিন্তু আবার ওসি তার নিকট এক লক্ষ টাকা দাবী করেন। এই টাকা দিতে অস্বীকার করায় এখন তার বিরুদ্ধে মামলা দেওয়ার হুমকী দিচ্ছে। ওসির ভয়ে তিনি এখন বাড়িতে থাকতে পারছেনা এবং পরিবারের লোকজন অত্যাচারের মধ্যে রয়েছে। এ বিষয়ে প্রতিকার ও নিরাপত্তার জন্য পুলিশ বিভাগের কর্মকর্তাদের অনুরোধ করেন শরিফুল।

এ বিষয়ে মোবাইলে ওসি খায়রুলের নিকট জানেত চাইলে তিনি বলেন, ডিবি টিম সেখানে গিয়েছিলো। এ নিয়ে মামলা হয়েছে। তবে এটার সাথে তিনি জড়িত না বলে দাবী করেন। তার সম্মান নষ্ট করার জন্য একটি মহল উঠে পরে লেগেছে বলে জানান এই ডিবি কর্মকর্তা।

এ বিষয়টি নিয়ে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের এডিসি রুহুল আমিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন- আপনারা জানেন পুলিশ আইনের উর্ধে নন। যেই অপরাধ করুক না কেন তাকে আইনের আওতায় নিয়ে এসে বিচার করা হবে। সেই সাথে আমাদের নব্য যোগদানকৃত পুলিশ কমিশনার স্যার দূর্নীতি দমনে বদ্ধ পরিকর।

Next Post

নন্দীগ্রামে আ’লীগের বর্ধিত সভা

বুধ সেপ্টে. ১৬ , ২০২০
নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধি : দলের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারীদের রুখতে ও সংগঠনকে শক্তিশালী করণের লক্ষে এবং আসন্ন পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীদের বিজয় করতে বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার বেলা ১১ টায় বাসষ্ট্যান্ড দলীয় কার্যালয়ে নন্দীগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও […]

Chief Editor

Johny Watshon

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore magna aliqua. Ut enim ad minim veniam, quis nostrud exercitation ullamco laboris nisi ut aliquip ex ea commodo consequat. Duis aute irure dolor in reprehenderit in voluptate velit esse cillum dolore eu fugiat nulla pariatur

Quick Links