নিজস্ব প্রতিনিধিঃ সদ্য প্রয়াত আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোহাম্মদ নাসিমকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে কটূক্তির অভিযোগে গ্রেফতার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষক কাজী জাহিদুর রহমানকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স ও ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক ছিলেন। তার বাড়ি নড়াইল জেলায়।
শনিবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্তের আদেশ দিয়েছেন। সকালে রাবি উপাচার্য প্রফেসর ড. এম আবদুস সোবহানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভায় শিক্ষক কাজী জাহিদকে সাময়িকভাবে চাকরি থেকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর ড. লুৎফর রহমান জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী কাজী জাহিদুর রহমানকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বিষয়টি আজ থেকেই কার্যকর হবে। তার বিরুদ্ধে চলমান ডিজিটাল আইনের মামলাটির পরবর্তী পরিস্থিতির ফলাফলের পর তার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
উল্লেখ্য গত ১৭ জুন রাতে একজন আইনজীবী ডিজিটাল আইনে নগরীর মতিহার থানায় কাজী জাহিদুর রহমানের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। পরদিন ভোরে গ্রেফতার হয়ে জাহিদ রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছেন।
দলের একজন জেষ্ঠ নেতা সম্পর্কে অশালীন মন্তব্যের প্রতিবাদে সরব হন রাজশাহী জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনসহ রাবি ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এমন কি শিক্ষকরাও এই প্রতিবাদে শামিল হন। জাহিদকে ক্ষমা চেয়ে তার মন্তব্য প্রত্যাহারের অনুরোধ করার পরও তিনি তার বক্তব্যে অনড় থাকেন। জাহিদ এরপর আরও মন্তব্য পোস্ট করেন।
ফলে সামাজিক মাধ্যমে নিন্দার ঝড় প্রবল হয়ে উঠে। তাকে গ্রেফতারের দাবি উঠে বিভিন্ন মহলে। ১৭ জুন রাতে ডিজিটাল আইনে মামলাটি করেন আইনজীবী তাপস কুমার সাহা।
এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে শাস্তিমুলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে গত ১৫ জুন রাবি ছাত্রলীগ ভিসি প্রফেসর এম সোবহানের কাছে স্মারকলিপি দেন তারা।
অভিযোগে আরও জানা গেছে, গত ১ জুন আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ নাসিম গুরুতর অসুস্থ হয়ে বাংলাদেশ মেডিকেলে ভর্তি হলে তার মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত আঘাত প্রবল হয়ে জীবন সঙ্কটে পড়েন। ওই রাতে রাবি শিক্ষক জাহিদ তার ফেসবুকে কটূক্তি করে পোস্ট দেন।