নন্দীগ্রাম থেকে আব্দুর রউফ উজ্জলঃ বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলায় ৪৩ টি কিন্ডারগার্টেন স্কুলের শিক্ষক কর্মচারীরা মানবেতর জীবন যাপন করছে। নন্দীগ্রাম উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের তথ্যমতে, এই কিন্ডারগার্টেন স্কুলগুলো চলে মূলত শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি’র টাকায়। সেই টাকায় শিক্ষকদের বেতন ও স্কুল ভবনের ভাড়াসহ যাবতীয় খরচ মেটানো হয়। কিন্তু, করোনার কারণে দীর্ঘসময় স্কুল বন্ধ থাকায় নন্দীগ্রাম উপজেলার ৪৩ টি কিন্ডারগার্টেন স্কুলে প্রায় ৬শত’র বেশি শিক্ষক-কর্মচারী এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা অত্যন্ত মানবেতর জীবনযাপন করছেন। এই করুণ পরিস্থিতিতে সরকারি সহায়তা চেয়েছেন এসব শিক্ষক-কর্মচারীরা।
ওই সব শিক্ষকরা সরকারের কাছে দাবী করেছেন, যেন তাদের মানবিক সহায়তা বা প্রণোদনার আওতায় আনা হয়। বাংলাদেশ কিন্ডার গার্টেন অ্যান্ড প্রি-ক্যাডেট স্কুল এ্যাসোসিয়েশন নন্দীগ্রাম উপজেলা শাখার সভাপতি অধ্যক্ষ আব্দুল মতিন বলেন, বেকার-কর্মহীন ছেলেরাই সাধারণত কেজি স্কুলের সঙ্গে জড়িত। তারা কম বেতনে শিক্ষকতা করেন, এবং উন্নত ও গুনগত মানসম্পন্ন শিক্ষা প্রদান করে থাকেন। এর মধ্যে আবার স্কুল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় শিক্ষকদের মানবেতর জীবন কাটাতে হচ্ছে। তাদের দিকে সরকারের দৃষ্টি দেওয়া প্রয়োজন। সরকার কিছুদিন আগে ঐসব প্রতিষ্ঠানের তালিকা নিলেও এখন পর্যন্ত কোন আর্থিক অনুদান কিংবা সহায়তা মেলেনি।