নিজস্ব প্রতিনিধিঃ পদ্মার অভ্যন্তরে জেগে ওঠা চরের জমি অধিগ্রহণ করে কারা প্রশিক্ষণ একাডেমী নির্মাণের উদ্যোগ বন্ধ, নদীর অভ্যন্তরের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদসহ ৬ দফা দাবিতে লাগাতার আন্দোলন কর্মসূচিকালী সংগঠন পরিবশেবাদী স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন রাজশাহী বাসী, স্বাধীনতা চর্চা কেন্দ্র, তারুণ্যের শক্তি ও পরিচ্ছন্ন রাজশাহীর নেতৃবৃন্দ সদর ২ আসনের সাংসদ ফজলে হোসেন বাদশার সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।
আন্দোলন কর্মসূচির অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় নগরীর উপকণ্ঠ কাটাখালি জুটমিল এলাকায় পথসভা ও লিফলেট বিতরণ করেন শেষে সাংসদ ফজেলে হোসেন বাদশার বাসায় গিয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
এ সময় নদী বাঁচাও আন্দোলন সম্পর্কে সাংসদকে বিস্তারিত ধারনা দেওয়া হয় এবং প্রধানমন্ত্রীকে প্রদত্ত স্মারকলিপির একটি অনুলিপি হস্তান্তর করা হয়।
আন্দোলনকারীদের আশ^স্ত করেন সাংসদ ফজলে হোসেন বাদশা (আজ) শুক্রবার বিকেল ৫ টা ২০ মিনিটে কারারক্ষী প্রশিক্ষণ একাডেমীর স্থান ও পার্শ্ববর্তী অবৈধ ভবন পরিদর্শনে যাবেন বলে জানান। তিনি নেতৃবৃন্দকে সেই সময় উপস্থিত থাকার কথা বলেন।
সৌজন্য সাক্ষাৎকালে রাজশাহী বাসীর আহ্বায়ক মাহবুব টুংকু, স্বাধীনতা চর্চা কেন্দ্রের আহ্বায়ক ডা. মাহফুজুর রহমান রাজ, তারুণ্যের শক্তির আহ্বায়ক এমএ মালেক তুহিন, পরিচ্ছন্ন রাজশাহীর আহ্বায়ক রফিকুল হক সেন্টু, রাজশাহী বাসীর সদস্য সচিব নাজমুল হোসেন রাজু, সাবেক ছাত্রনেতা আবু সুফিয়ান বাবু, রায়হান উদ্দিন হালিম, মানবাধিকার কর্মী সৈয়দ আহমদ বাবলা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এরআগে কাটাখালি এলাকায় সংক্ষিপ্ত পথসভা থেকে শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় নগরীর চর মাঝাড় দিয়াড় এলাকায় লিফলেট বিতরণ ও পথসভা কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেয়া হয়।
প্রসঙ্গত, গত ২৬ মে পরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্যী শাহরিয়ার আলম তার ফেসবুক পেজে পদ্মা নদীর একটি ছবি পোস্ট করে আন্দোলনের যৌক্তিকতা তুলে ধরে সমর্থন জানিয়েছিলেন।
ওই স্ট্যাটাসে বলা হয়েছে, “রাজশাহীতে যারা বেড়ে উঠেছেন তাদের পদ্মা নদীর সাথে একাটা আত্মার সম্পর্ক আছে। জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকারের অধীন কোন প্রতিষ্ঠান জনগণের চাওয়ার বিপরীতে কোন সিধান্ত নেবেনা। একই সাথে এখানকার প্রতিটি রাস্ট্রীয় স্থাপনাগুলোও আমাদের অনেক গর্বের। প্রয়োজনে তাদের দেখভাল করাও সকলের কর্তব্য। নতুন কিছু করতে চাইলে তার জন্য সঠিক জায়গা খুজে দেয়া আমাদের জনপ্রতিনিধিদের দ্বায়িত্ব। কারা প্রশিক্ষণ একাডেমি রাজশাহীতেই হবে, নতুন কোন স্থানে। মন্ত্রনালয়ের সম্মানিত সচিবের সাথে আমার কথা হয়েছে। প্রয়োজনীয় পরামর্শ তাকে আমি দিয়েছি। ইনশাআল্লাহ সেই অনুযায়ী কাজ হবে।”
এরপর পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী পদ্মা বাঁচাও আন্দোলনকারীদের মোবাইলফোনে আশ^স্ত করেন। তবে কোনো সরকারী সুনির্দিষ্ট ঘোষণা না আসায় আন্দোলন অব্যাহত রেখেছেন নেতৃবৃন্দ।