ধানে না হোক, খড়ে ই সেই বেদনা দূর করছে রাজশাহীর তানোর উপজেলার কৃষকরা।

আভা ডেস্কঃ বেশ কয়েক মৌসুম ধরে ধানের সঙ্গে খড়ও বিক্রি হচ্ছিল পানির দরে। দাম না থাকায় ধান ও খড় দুটো যেন ছিল কৃষকের বেদনার কারণ।

তবে এবার দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানোর অবস্থা। ধানে না হোক, খড়েই সেই বেদনা দূর করছে রাজশাহীর তানোর উপজেলার কৃষকেরা।

এ অঞ্চলে হঠাৎ খড়ের (গো-খাদ্য) বাজার চাঙা হয়ে উঠেছে। মাত্র এক সপ্তাহ আগেও এক হাজার মুটি খড়ের মূল্য ছিল ৯০০ থেকে এক হাজার টাকা। সেই খড়ের মূল্য বর্তমান বাজারে ৫ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এক হাজার খড়ের দাম পাঁচ হাজার টাকায় ঠেকেছে। প্রতি পিস (শলা) খড় বিক্রি হচ্ছে পাঁচ টাকা দরে। হঠাৎ খড়ের বাজার চাঙা হওয়াই খুশি কৃষকরা।

কৃষকরা জানান, আগে কোনো কারণে ধানে লোকসান হলে অনেকটা খড়ে পুষিয়ে যেত। কিন্তু টানা কয়েক মৌসুমে ধানের সঙ্গে খড়ের মূল্য সর্বনিম্ন পর্যায়ে চলে গিয়েছিল। খড় ও ধানের দর না পেয়ে কৃষকরা অনেক ক্ষতিতে পড়েছিল। চলতি আমন মৌসুমেও পানি দরে খড় বিক্রি হয়েছে। এখন হঠাৎ করে খড়ের দাম উঠায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা কিছুটা ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবে বলে আশা করছেন তারা।

এদিকে তানোর অঞ্চলের গ্রামে গ্রামে প্রতিদিন খড় ক্রয় করতে ট্রাক, লছিমন, করিমন, ভটভটি ও টলি নিয়ে বিভিন্ন জেলা থেকে চলে আসছেন গো-খামারী ও ব্যবসায়ী। বেশিভাগ জেলা শহর আসছেন- পাবনা, সিরাজগঞ্জ, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর জেলা থেকে।

শুধু গো-খামারী নয়, তামাক চাষীরা ক্রয় করছেন খড়। তাই খড়ের চাহিদা বেড়ে দাম চার থেকে পাঁচ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।

তানোর পৌর এলাকার আমশো গ্রামের কৃষক মুকসেদ আলী জানান, তার প্রায় ৬০ বিঘা জমির আমনের খড় ছিল। মাত্র ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা হাজার বিক্রি হচ্ছিল। দাম না থাকায় আগে বিক্রি করেননি। গত শনিবার থেকে প্রতি হাজার খড় বিক্রি করছেন ৪ হাজার ৮০০ টাকায়।

তিনি আরও জানান, বেশ কয়েক মৌসুম থেকে ধান চাষে প্রতি বিঘায় আড়াই হাজার থেকে তিন হাজার টাকা লোকসান হচ্ছে। এই লোকসান এখন খড়ে পুষিয়ে যাচ্ছে।

শুধু মোকসেদ আলী নয় একই কথা জানান জিওল গ্রামের কৃষক মোজাহার মন্ডল ও হাবিবুর রহমান ছাড়া আরও অনেকে।

তারা আরও জানান, এই অঞ্চলের কৃষকেরা ধানের দাম না পেলে খড়ে তা পুষিয়ে নিতেন। কিন্তু কয়েক বছর ধরে ধানের সঙ্গে খড়ও পানির দরে বিক্রি হয়ে আসছিল।

এ ব্যাপারে তানোর উপজেলা কৃষি অফিসের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সমশের আলী  বলেন, এবারে দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানোর অবস্থা। ধানে না হোক, খড়ে ই সেই বেদনা দূর করছে রাজশাহীর তানোর উপজেলার কৃষকরা।

Next Post

গাইবান্ধা সদর উপজেলায় বিরল প্রজাতির একটি ঈগল পাখি ধরে থানায় নিয়ে গেছে পুলিশ।

মঙ্গল জানু. ২১ , ২০২০
গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ গাইবান্ধা সদর উপজেলায় বিরল প্রজাতির একটি ঈগল পাখি ধরে থানায় নিয়ে গেছে পুলিশ। ঈগল পাখিটির ওজন আনুমানিক ১৫ কেজি। বিরল প্রজাতির ওই ঈগল পাখিটি দেখতে থানায় উৎসুক জনতার ভিড় দেখা গেছে। সোমবার রাতে সদরের রাচন্দ্রপুর ইউনিয়নের তরফকাল গ্রাম থেকে ওই ঈগল পাখিটি উদ্ধার করে পুলিশ। গাইবান্ধা সদর থানার […]

Chief Editor

Johny Watshon

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore magna aliqua. Ut enim ad minim veniam, quis nostrud exercitation ullamco laboris nisi ut aliquip ex ea commodo consequat. Duis aute irure dolor in reprehenderit in voluptate velit esse cillum dolore eu fugiat nulla pariatur

Quick Links