ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড বিধান করায় অপরাধ কমবে বলে আশা ব্যক্ত করেন আইনমন্ত্রী ।

আভা ডেস্কঃ ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড করায় এ অপরাধ কমবে বলে আশা ব্যক্ত করেছেন আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক।

সোমবার (১২ অক্টোবর) রাজধানীর গুলশানের বাসায় প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ আশা ব‌্যক্ত করেন।

আইনমন্ত্রী বলেন, ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(১) ধারায় ধর্ষণের জন্য যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান ছিল। মন্ত্রিসভার আজকের বৈঠকে ওই আইনের ৯(১) ধারায় সংশোধনীর প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে। সংশোধনী অনুযায়ী, ধর্ষণের শাস্তি হবে মৃত্যুদণ্ড অথবা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। ৯(১) ধারার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা থাকায় ৯(৪) ধারাতেও সংশোধন আনা হয়েছে। ধর্ষণের সাজা যাবজ্জীবন থেকে মৃত্যুদণ্ড করায় এই অপরাধ কমবে। তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্বে মৃত্যুদণ্ডের ব্যাপারে অনেক বিতর্ক আছে। তারপরও বর্তমান পরিস্থিতির কারণে এই সাজা বাড়ানো উচিত বলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মনে করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে মৃত্যুদণ্ডের ব্যাপারে সংশোধনী আনা হয়েছে। এর পাশাপাশি পুরাতন ধর্ষণ মামলাগুলো আগে এবং নতুন মামলাগুলো যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সম্পন্ন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

সরকার আইনে বিশ্বাস করে, এ দাবি করে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আইনি প্রক্রিয়ায় যতটুকু সময় লাগে, সেই সময়ের মধ্যে ধর্ষণ মামলাগুলোর বিচার সম্পন্ন করার ব্যবস্থা ও চেষ্টা সরকার করবে।

তিনি বলেন, ‘বিচার বিভাগ স্বাধীন। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা অবশ্যই রক্ষা করা হবে। প্রধান বিচারপতিকে অনুরোধ করা হবে, তিনি যেন একটি প্র‌্যাকটিস ডাইরেকশন দেন, যাতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব‌্যুনালের মামলাগুলো দ্রুত শেষ করার জন্য সংশ্লিষ্ট বিচারকগণ যথাযথ পদক্ষেপ নেন। অপরদিকে, আইন মন্ত্রণালয় থেকেও নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পিপিদেরকে নিদের্শনা দেওয়া হবে, যাতে তারা ধর্ষণ মামলাগুলো শেষ করার ব্যাপারে ইমিডিয়েট পদক্ষেপ নেন।

মন্ত্রী বলেন, ‘কিছুদিন আগে হাইকোর্ট বিভাগের একটি দ্বৈত বেঞ্চ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১১(গ) ধারা সংশোধন করে সাধারণ জখমের জন্য আপসের বিধান রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন। সে অনুযায়ী ১১(গ) ধারা সংশোধন করে আপসের বিধান রাখা হয়েছে। এছাড়া, ২০১৩ সালের শিশু আইনে একটি সংশোধনী আনা হয়েছে।

তিনি জানান, আজকের মন্ত্রিসভার বৈঠকে উল্লিখিত সংশোধনীগুলো ভেটিং সাপেক্ষে চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে সংসদ অধিবেশন চলমান না থাকায়, এটা অধ্যাদেশ আকারে জারি করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়েছে এবং আগামীকাল রাষ্ট্রপতির আদেশবলে এটাকে অধ্যাদেশ হিসেবে জারি করার প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার।

তিনি আরও জানান, আগে সাক্ষীদের আদালতে আসার ব্যাপারে কিছু সমস্যা ছিল। এখন সরকার সাক্ষীদের মোবাইল ফোনের মাধ্যমে মেসেজ দেওয়ার একটি পদ্ধতি অবলম্বন করছে।

তিনি আশা প্রকাশ করেন, এসব নতুন পদ্ধতি অবলম্বন করে ধর্ষণ মামলাসহ অন্যান্য মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি হবে।

সাক্ষী সুরক্ষা আইন নিয়েও সরকার কাজ করছে বলে জানান আইনমন্ত্রী।

Next Post

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ২১ লক্ষ জাল রুপীসহ আটক -১ ।

সোম অক্টো. ১২ , ২০২০
চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধিঃ চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে বিপুল পরিমাণের ভারতীয় জাল রুপিসহ একজনকে আটক করেছে শিবগঞ্জ থানা পুলিশ। সোমবার ভোর সাড়ে ৪ টায় ২১ লক্ষ ৩০ হাজার জাল রুপীসহ আব্দুল বাসিদ (২৮) কে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত জাল রুপী কারবারী শিবগঞ্জ উপজেলার কানসাট কাঠগড় এলাকার মোঃ গোলাম নবীর ছেলে মোঃ আব্দুল বাসিদ (২৮)। সোমবার […]

Chief Editor

Johny Watshon

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore magna aliqua. Ut enim ad minim veniam, quis nostrud exercitation ullamco laboris nisi ut aliquip ex ea commodo consequat. Duis aute irure dolor in reprehenderit in voluptate velit esse cillum dolore eu fugiat nulla pariatur

Quick Links