আভা ডেস্কঃ তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিশ্ব গণতান্ত্রিক সূচকে বাংলাদেশের ৮ ধাপ অগ্রগতি দেশে গণতন্ত্র চর্চা নিয়ে সমালোচনাকে অন্তঃসারশূন্য প্রমাণ করেছে। তিনি বলেন, ‘দেশে বিএনপির নেতিবাচক রাজনীতি না থাকলে এক্ষেত্রে আরও অগ্রগতি হতো।’
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইন্সটিটিউটে সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে তিনি একথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, দ্য ইকনোমিস্ট পত্রিকার ইন্টেলিজেন্স ইউনিটে (ইআইইউ) সদ্যপ্রকাশিত বিশ্ব গণতান্ত্রিক সূচক-২০১৯ এ বাংলাদেশের ৮ ধাপ অগ্রগতি হয়েছে। প্রতিবেশী অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশের অবস্থান অনেক ওপরে। এতে প্রমাণ হয়, দেশে গণতান্ত্রিক চর্চা নিয়ে সমালোচনা অন্তঃসারশূন্য।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল প্রকাশিত দুর্নীতি সূচকেও দেশের অগ্রগতি প্রসঙ্গেও কথা বলেন ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, এ সূচকে দেশের তিন ধাপ অগ্রগতি প্রমাণ করে যে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে সুশাসন বিরাজ করছে এবং সুশাসনের পথে এগিয়ে যাওয়া অব্যাহত রয়েছে।
মতবিনিময়ের আগ মুহূর্তে নেদারল্যান্ডসের হেগে আন্তর্জাতিক আদালতে মিয়ানমারের গণহত্যা মামলায় দেয়া রায়ের চারটি বিশেষ অংশের কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, প্রথমত : মিয়ানমার আর কোনোভাবেই ‘জেনোসাইড কনভেনশন’ ভঙ্গ করবে না, নির্দেশ দিয়েছে আদালত। দ্বিতীয়ত : মিয়ানমারের সেনা বা অন্য কোনো বাহিনী কোনোভাবেই আর গণহত্যা বা এ ধরনের কাজে লিপ্ত হবে না বা প্ররোচনা দেবে না। তৃতীয়ত : পূর্বে সংঘটিত সব গণহত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞের প্রমাণ সংরক্ষণ করতে হবে এবং চারমাস পর আদালতের আদেশ পালনের ‘কমপ্লায়েন্স রিপোর্ট’ দাখিল করতে হবে, যা পরবর্তী আদেশ না দেয়া পর্যন্ত ৬ মাস অন্তর প্রতিবেদন দাখিল অব্যাহত রাখতে হবে।
আন্তর্জাতিক আদালতের এই রায়কে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের বিচার প্রতিষ্ঠার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হিসেবে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সেই সঙ্গে আমি এটাও আশা করি, মিয়ানমার তাদের দেশ থেকে পালিয়ে আসা ১১ লাখ রোহিঙ্গাকে অতিদ্রুত ফিরিয়ে নেবে এবং পূর্ণ নাগরিকত্ব দেবে।’