দেশকে দারিদ্র্যমুক্ত করতে সরকার চেষ্টা করছে, প্রধানমন্ত্রী।

আভা ডেস্কঃ ২০২১ সালের মধ‌্যে দেশকে দারিদ্র্যমুক্ত করতে সরকারের দেওয়া প্রতিশ্রুতি করোনা প্রাদু্র্ভাবের কারণে পূরণ না হলেও প্রচেষ্টা অব‌্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সবার সাথে ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার মাধ্যমে দেশ থেকে দারিদ্র্য বিমোচনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।

শনিবার (৩১ অক্টোবর) ‘মুজিববর্ষে গৃহহীন মানুষদের ঘর উপহার’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

সরকারের সিনিয়র সচিব ও সচিবরা গৃহহীন মানুষদের ঘর সরবরাহের এ উদ্যোগ নিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) গৃহহীন মানুষদের মধ্যে ১৬০টি ঘর হস্তান্তরের এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।  প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে এই কর্মসূচিতে অংশ নেন।

তিনি বলেন, সরকার ইতিমধ্যে দারিদ্র্যের হার উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করেছে এবং আরও হ্রাস করতে চায়। আমরা ২০২১ সালের মধ্যে দেশকে দারিদ্র্যমুক্ত ঘোষণা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম, তবে করোনাভাইরাসের কারণে এটি করা সম্ভব হয়নি। কিন্তু আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে এবং থাকবে।

শেখ হাসিনা বলেন, দেশের মানুষ অত্যন্ত সাহসী এবং তারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে পাকিস্তানের কাছ থেকে তাদের স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছে।  আমরা বিজয়ী জাতি এবং বিজয়ী হয়েই বিশ্ব অঙ্গনে চলব।  আমরা এই সম্মান অর্জন করেছি।

শেখ হাসিনা বলেন, দেশের মানুষের জন্য কাজ করা তার জীবনের প্রধান লক্ষ্য, কারণ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট তিনি তার জীবনের সব কিছু হারিয়েছেন।

‘এই দেশের মানুষের জন্য কিছু করতে পারলে সেটা হবে আমার জীবনের সাফল্য।  আমি কখনই ভাবিনি যে আমি কী অর্জন করেছি বা পাইনি।  দেশের মানুষকে আমি কি দিতে পারলাম সেটাই আমার কাছে আসল,’ বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বিত্তবান লোকদের নিজ নিজ এলাকায় সাহায্য করার জন্য এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। এর মাধ্যমে সেই অঞ্চলের লোকেরা আরও উন্নত জীবন লাভ করতে পারবে। একা ভালো থাকা মোটেও মানবিকতা নয় বলেও মন্তব‌্য করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মুজিববর্ষে গৃহহীন মানুষের বাড়িঘর সরবরাহের জন্য সরকার নিরলসভাবে কাজ করছে।

‘আমরা মুজিববর্ষে দেশের প্রতিটি বাড়ি আলোকিত করার উদ্যোগ নেব, আমরা সেদিকে পরিকল্পনা নিয়েছি এবং সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী আমরা কাজও করছি।’ দেশে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারের সাফল্যের কথা বলতে গিয়ে তিনি উল্লেখ করেন, সরকার এখন সবার পুষ্টি নিশ্চিতের লক্ষ্যে পদক্ষেপ নিচ্ছে এবং মাছ, মাংস, দুধ, ডিম ও অন্যান্যের উৎপাদন বৃদ্ধির উদ্যোগ নিয়েছে। তিনি এক ইঞ্চি জমিও ফেলে না রাখতে সবাইকে আহ্বান জানান।

সরকার কৃষির যান্ত্রিকীকরণের ওপর বিশেষ মনোযোগ দিয়েছে বলেও এ সময় জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, সরকার দেশজুড়ে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করছে। আমরা দেশের বিভিন্ন স্থানে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প প্রতিষ্ঠার উদ্যোগও নিয়েছি। করোনাভাইরাসের কারণে জনকল্যাণে সরকারের নেওয়া অনেক উদ্যোগ স্থগিত রয়েছে।  তবে সরকার কাজ করছে, গ্রামীণ অঞ্চলে আর্থিক সহায়তা যাতে পৌঁছতে পারে তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করছে।

Next Post

করোনার ভ্যাক্সিন পেতে যোগাযোগ অব্যহত রাখা হয়েছে, স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

শনি অক্টো. ৩১ , ২০২০
আভা ডেস্কঃ স্বাস্থ্য ও পরিবারকল‌্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ‘শীতের সময় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কা আছে। যারা ভ্যাকসিন তৈরি করছেন, তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। দুই-চারদিনের মধ্যে চুক্তি হবে। আমাদের আর কিছুদিন ধৈর্য ধরতে হবে। দেশ থেকে এখনও করোনাভাইরাস চলে যায়নি। শনিবার (৩১ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে মানিকগঞ্জের গড়পাড়া শুভ্র সেন্টারে করোনায় […]

এই রকম আরও খবর

Chief Editor

Johny Watshon

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore magna aliqua. Ut enim ad minim veniam, quis nostrud exercitation ullamco laboris nisi ut aliquip ex ea commodo consequat. Duis aute irure dolor in reprehenderit in voluptate velit esse cillum dolore eu fugiat nulla pariatur

Quick Links