দলের ভিতরে বিরুদ্ধোচারীতা মেনে নেওয়া যায় না, মুক্তিযোদ্ধা রশিদুল।

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপ-কমিটির চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা রশিদুল আলম বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধু কন্যা যখন আছেন, তখন মুক্তিযোদ্ধারা সব সুযোগ-সুবিধা পাবেন। বঙ্গবন্ধুর মতোই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে কিছু চাইতে হয় না। চাওয়ার আগেই তিনি অনেক কিছু দিয়ে দেন। কিন্তু যে মুনাফেকি করে, পার্টির ভেতরে বিদ্রোহ করে তাকে কিন্তু তিনি দলে রাখেন না। অনেকেই অনেকের বিরুদ্ধে বলছেন। এই বিরুদ্ধে বলা বাদ দিয়ে সবাই এক হয়ে নৌকার পক্ষে কাজ করতে হবে।’

আজ সোমবার দুপুরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ডা. কাউছার রহমান চৌধুরী মিলনায়তনে বিভাগের সকল জেলা, উপজেলা ও মহানগরের সকল মুক্তিযোদ্ধারদের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা রশিদুল আলম বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার বহু বছর পর দেশের হাল ধরেছেন তাঁরই কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করছেন তিনি। বাবার মতো প্রধানমন্ত্রীও বুদ্ধি-মত্তা ও সাহসী হয়ে বাংলাদেশকে পৃথিবীর বুকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত করেছেন। আজকে পৃথিবীর যেকোন দেশে বাঙালির সন্তানদের সম্মান পায় । এদেশের সন্তানেরা লন্ডলসহ বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করছে।

তিনি আরো বলেন, যে নৌকার জন্য একাত্তর সালে অস্ত্রহাতে যুদ্ধ করেছেন, আগামী নির্বাচনে সেই নৌকার দায়িত্ব নিতে হবে। আমাদের মধ্যে কেউ এসে যাতে বিভেদ সৃষ্টি করতে না পারে, সন্ত্রাসী সৃষ্টি করতে না পারে, কারো ক্ষতি করতে না পারে, সে ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে।

মতবিনিময় সভার সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র, কেন্দ্রীয় আওয়ামী রীগের কার্যনিবার্হী সদস্য, রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।

তিনি বলেন, বিগত সময়েও ষড়যন্ত্র হয়েছে, এখনো হচ্ছে। বাংলাদেশের মাটিতে ষড়যন্ত্রকারীদের অভাব নেই। কিন্তু এসব ষড়যন্ত্রকারীদের ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে।

মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন আরো বলেন, কোন এলাকায় কোনো শিথিলতার সুযোগ নাই। সবাইকে ভালোভাবে কাজ করতে হবে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বাধীনতা ও উন্নয়নের প্রতীক নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে হবে।

মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক রুহুল আমিন প্রামাণিকের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন, আওয়ামী লীগের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য সচিব একেএম ফরহাদ হোসেন, সদস্য আব্দুল মোতালেব পাঠান, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য এ্যাড. নূরুল ইসলাম ঠান্ডু, তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, রাজশাহী-৩ সাংসদ আয়েন উদ্দিন, নওগাঁর সংসদ সদস্য সাধন কুমার মজুমদার, রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবাল, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ, রাজশাহীর কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জিয়াউর রহমান, সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল লতিফ বিশ^াস, বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মজিবর রহমান, জয়পুরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সোলাইমান আলী প্রমুখ।

মতবিনিময় সভায় রাজশাহী বিভাগের সকল জেলা, উপজেলা এবং মহানগরের সহস্রাধিক মুক্তিযোদ্ধা অংশ নেন।

মতবিনিময় সভার শুরুতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, বেলুন ও পায়রা উড়ানো এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ সকলের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

Next Post

ডিজিটাল আইন তো পাস হয়ে গেছে এখন আর কি করার, প্রধানমন্ত্রী।

সোম অক্টো. ১৫ , ২০১৮
আভা ডেস্ক: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। আইনটি সংসদে পাস হওয়ার পর এখন আর কিছু করার নেই বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার (১৫ অক্টোবর) সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার এ নিয়মিত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে সম্প্রচার আইন নিয়ে আলোচনার সময় আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক […]

এই রকম আরও খবর

Chief Editor

Johny Watshon

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore magna aliqua. Ut enim ad minim veniam, quis nostrud exercitation ullamco laboris nisi ut aliquip ex ea commodo consequat. Duis aute irure dolor in reprehenderit in voluptate velit esse cillum dolore eu fugiat nulla pariatur

Quick Links