আভা ডেস্কঃ কোনো সন্দেহ ছাড়াই টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটার সেরা ব্যাটসম্যান হিসেবে ক্যারিবিয়ান কিংবদন্তি ক্রিস গেইলকে বেছে নেওয়া যায়। ভারতীয় ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগেরও (আইপিএল) সেরাদের একজন গেইল। ২০০৯ সালে আইপিএল খেলা শুরু করা গেইল এই পর্যন্ত ৬টি শতকে ৪৪৮৪ রান করেছেন এই প্রতিযোগিতায়। প্রতিযগিতাটি এবং টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে সর্বোচ্চ অপরাজিত ১৭৫ রান করেছেন গেইল।
সম্প্রতি মায়াঙ্ক আগারওয়ালের অনলাইন শো ‘ওপেন নেটস’ অনুষ্ঠানে ‘ইউনিভার্সাল বস’ জানালেন, ১৭৫ রান করা ম্যাচের দিন যদি এবি ডি ভিলিয়ার্স না নামতেন আর নেমেই বোলারদের ওপর মারাত্মক রকমের চড়াও না হতেন তাহলে ভিন্ন কিছু হতেও পারতো। ক্যারিবিয়ান বিস্ফোরক এই ওপেনারের বিশ্বাস, তেমনটা না হলে পুনে ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে সেই ম্যাচে ইতিহাসের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে ডাবল সেঞ্চুরি পেয়ে যেতেন তিনি।
২০১৩ সালে পুনে ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে সে ম্যাচে প্রতিপক্ষের বোলারদের খুন করে ফেলেছিলেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিধ্বংসী ওপেনার গেইল। ১৩ চার ও ১৭ ছক্কায় ৬৬ বলে ২৬৫ স্ট্রাইক রেটে অপরাজিত ১৭৫ রানের খুনে ইনিংস খেলেন গেইল। তবে ম্যাচের শেষ দিকে নেমে ডি ভিলিয়ার্স রানে না হলেও স্ট্রাইক রেটে গেইলকে ছাড়িয়ে ৮ বলে তিনটি করে ছক্কা ও চারে করেন ৩১ রান। বেঙ্গালুরুও পায় ২৬৩ রানের সংগ্রহ।
তবে গেইল মনে করেন, ভিলিয়ার্স না নামলে ও এতটা খুনে মেজাজে না খেললে দ্বিশতক পেয়েই যেতেন। তাঁর ভাষ্যে, ‘যদি এবি ডি ভিলিয়ার্স না নামত এবং এমন ইনিংস না খেলত, তাহলে আমি ডাবল সেঞ্চুরি করতে পারতাম।’
এরপর আরও যোগ করে, ‘আমার মনে আছে, ম্যাচ শুরুর কয়েক ওভার পরেই বৃষ্টি নামে। আমি ড্রেসিং রুমে ফিরে যাই। সেই দলে রবি রামপালও ছিল। আমি তাকে বলেছিলাম, উইকেট সত্যিই দারুণ। আমাদের ১৭০-১৮০ রান করতে হবে ম্যাচটি জেতার সুযোগ তৈরি করার জন্য। কারণ উইকেটটি ছিল খুবই ভালো।’
বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়াম বরাবরই ব্যাটসম্যানদের পক্ষে কথা বলে। সেদিনও বলছিল গেইলের পক্ষে। আর গেইলের সেদিন মনে হচ্ছিল, ব্যাট হাতে আজ কোনো ভুলই করবেন না তিনি।
তাঁর ভাষ্যে, ‘বৃষ্টির পর যখন আমি অবশেষে মাঠে যাই, যেখানে শেষ করেছিলাম সেখান থেকে আবার শুরু করি। সেই ধারা ও ছন্দে ছিলাম। মাঝে মধ্যে ব্যাটসম্যান হিসেবে অনুভব করা যায়, আজ কোনো ভুল হবে না। দিনটি ছিল সেই সব দিনের একটি। এটা অসাধারণ ও মজার ছিল যে আমি ১৭৫ রান করেছিলাম।’