ঠাকুরগাঁ প্রতিনিধিঃ ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলায় একই পরিবারের দুই ভাই কে হাত পা বেধে মারধর করেন সেনগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যরা । ঐ দুই ভাইকে মোবাইল চুরি অপবাদ দিয়ে এই মারধরের ঘটনা ঘটায় তারা । পরে নির্যাতিতদের মা বাদি হয়ে থানায় মামলা দিলে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ও র্যাব পৃথক অভিযানে দুইজনকে আটক করেন ।
শনিবার (১৩ জুন) দিনগত রাতে পীরগঞ্জ উপজেলার সেনগাঁও ইউনিয়নের দেওধা গ্রাম ও পাশ্ববর্তী রানীশংকৈল উপজেলার গাজীরহাটে পৃথক অভিযানে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতাররা হলেন- দেওধা গ্রামের সোহরাব আলীর ছেলে ও সেনগাঁও ইউপি সদস্য জহিরুল ইসলাম ওরফে গুড (৪৮) এবং দেওধা গ্রামের মৃত মেহেরাব আলীর ছেলে ও মামলার ৬ নম্বর আসামি জিয়াবুল (৫৬)।
জানা গেছে, গত ২২ মে মোবাইল চুরির অপবাদ দিয়ে সালিশের নামে স্থানীয় ইউপি সদস্য জহিরুলসহ তার সহযোগিরা সুমন (১৩) ও করিমুল (১৬) নামে দুই কিশোরের হাত-পা বেঁধে মারধর করেন। নির্যাতনের শিকার দুই কিশোর সম্পর্কে আপন ভাই। এ ঘটনায় গত ৫ জুন দুপুরে ওই দুই কিশোরের মা শরিফা খাতুন বাদী হয়ে পীরগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় সেনগাঁও ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জহিরুল, তার সহযোগী মোতালেব আলীসহ সাতজনের নাম উল্লেখ করা হয়।
ঠাকুরগাঁও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) রবিউল ইসলাম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার দিনগত রাতে দেওধা গ্রামে অভিযান চালিয়ে নিজ বাড়ি থেকে জিয়াবুলকে গ্রেফতার করা হয়। এই মামলার ৬ নম্বর আসামি তিনি। এছাড়াও মামলার অন্য আসামিরা আত্মগোপনে রয়েছেন। তবে তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। শিগগিরই তাদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।
এদিকে র্যাব-১৩ দিনাজপুর ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট আব্দুল্লাহ আল-মামুন জানান, ১৪ জুন দিনগত রাতে ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল থানাধীন গাজীরহাট এলাকায় অভিযান চালানো হয়। অভিযানে পীরগঞ্জ উপজেলায় চাঞ্চল্যকর মামলার শিশু নির্যাতনকারী প্রধান আসামি জহিরুল ওরফে গুডকে গ্রেফতার করা হয়। র্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শিশু নির্যাতনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করেছেন জহিরুল। আসামির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।