আভা ডেস্কঃ পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, আমাদের টাকার অভাব নেই। তবে এখন থেকে লক্ষ্যভিত্তিক অর্থব্যয়ের দিকে যাচ্ছে সরকার। গত একনেক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, অর্থব্যয় কোথায় হচ্ছে সেটি দেখতে হবে। তাই এখন থেকে ব্যয়ের টার্গেট করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (২৬ নভেম্বর) সকালে পানি, স্যানিটেশন ও হাইজিন বিষয়ক ন্যায্যতা ভিত্তিক বাজেট বরাদ্দ শীর্ষক এক ওয়েবিনার আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন।
ডিজেএফবির সদস্য সুশাস্ত সিনহার সঞ্চালনায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য (সিনিয়র সচিব) ড. শামসুল আলম।
তিনি বলেন, এর মধ্যে প্রধান টার্গেটে থাকবে পানি। এর সঙ্গে হাইজিন ও স্যানিটেশন। রাষ্ট্রের অর্থ বেশি ব্যয় হবে তাদের জন্য, যারা নিম্ন আয়ে আছে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনামন্ত্রী আরও বলেন, আমরা উন্নত দেশে যেতে চাচ্ছি। উন্নত দেশের প্রধান পরিচয় হবে সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ। আমরা সেই চেষ্টা চালাচ্ছি। অনেকটা সফলও হয়েছি। কিন্তু তারপরও আরও কাজ করতে হবে। বাজেটে ওয়াস সেক্টরে বরাদ্দ আরও বাড়ানো প্রয়োজন। আমাদের অর্থ খরচের টার্গেট নিয়ে নানা ঝামেলা হয় অনেক সময়। নানা ধরনের চাপ থাকে। এজন্য একরাতেই ওয়াস সেক্টরে বেশি বরাদ্দ দেওয়া হয়তো সম্ভব হবে না। কিন্তু সরকার বরাদ্দ বাড়াচ্ছে এবং সেটি অব্যাহত থাকবে। সম্প্রতি হাওর এলাকায় বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের জন্য ৮০০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে একনেক। স্যানিটেশনের জন্যও প্রকল্প হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা হচ্ছে গ্রাম হবে শহর। এটি রাতারাতি হবে না। তবে বিভিন্ন পরিকল্পনার মাধ্যমে এটি করা হচ্ছে। শহরের সব সুবিধা গ্রামে পৌঁছানো আমাদের সাংবিধানিক ও নৈতিক দায়িত্ব।
আলোচনায় অংশ নেন এসডবিব্লউএ-এর দক্ষিণ এশিয়া প্রতিনিধি ও ডরপ এর গবেষণা পরিচালক যোবায়ের হাসান, ডিজেএফবির সভাপতি এফএইচএম হুমায়ন কবীর, স্থানীয় সরকার বিভাগের পলিসি সাপোর্ট ব্রাঞ্চের যুগ্ম সচিব ইমদাদুল হক চৌধুরী, ইউনিসেফের ওয়াস স্পেশালিস্ট মোহাম্মদ মনিরুল আলম, ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রিকিডস এর গ্রান্ডস ম্যানেজার আবদুস ছালাম মিয়া, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর উপ-পরিচালক আলমগীর হোসেন এবং ওয়াটার এইড বাংলাদেশের রঞ্জন ঘোষ প্রমুখ।