ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম (বিএমএসএফ) ঝালকাঠি জেলা শাখা, ঝালকাঠি রিপোর্টার্স ইউনিটি, কাঠালিয়া প্রেসক্লাব(সাংবাদিক) সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ে ডিআইজি মোঃ শফিকুল ইসলাম বিপিএম(বার) পিপিএম এর সাথে দেখা করে ঝালকাঠির সাংবাদিকদের মধ্যে বিরাজমান দ্বন্দ্ব-কলহ, সাংবাদিক নির্যাতন, পাতানো মামলায় ফাঁসানো, নানা রকম হয়রানীসহ চাঁদাবাজির বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। আলোচনা শেষে সংগঠনসমূহের নেতৃবৃন্দ ডিআইজি’র নিকট অপসাংবাদিক ও চাঁদাবাজ সাংবাদিকদের একটি তালিকা তার কাছে প্রদান করেন।তিনি তালিকাটি গ্রহন করেন এবং তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবেন বলে আশ্বাস প্রদান করেন। তিনি আরো বলেন, ঝালকাঠির সাংবাদিকদের মধ্যে বিরাজমান দ্বন্দ্ব-কলহের বিষয়ে আমি অবগত আছি।
পরে ৪টি সাংবাদিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বরিশাল র্যাব-৮ এর এডিশনাল ডিআইজি, কমান্ডিং অফিসার এন্ড ডাইরেক্টর আতিকা ইসলামের সাথে দেখা করে ঝালকাঠির অপসাংবাদিক, সাংবাদিক নির্যাতনকারী ও চাঁদাবাজ সাংবাদিকদের একটি তালিকা তাঁর নিকট প্রদান করা হয়। তাঁর সাথে আলাপকালে তিনি সাংবাদিক নেতৃবৃন্দকে জানান, “কেহ ক্রিমিনাল অফেন্স করলে সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।”
এ বিষয়ে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম (বিএমএসএফ) কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আহমেদ আবু জাফর জানান, “যেখানেই সাংবাদিক নির্যাতিত, মামলা-হামলার শিকার হবে সেখানেই বিএমএসএফ তাদের পাশে দাঁড়াবে এবং প্রতিরোধ গড়ে তুলবে। ঝালকাঠির কিছু রাক্ষুসে সাংবাদিক নিরীহ সাংবাদিকদের মামলা, হামলা ও অপবাদের কালিমা লেপনের অপচেষ্টা চালাচ্ছে। এ সকল রাঘব বোয়ালদের আমরা প্রশাসনের সহযোগীতায় বিএমএসএফ কর্তৃক প্রদত্ত তালিকার সকল অপসাংবাদিক ও চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।”
বিএমএসএফ ঝালকাঠি জেলা শাখার সভাপতি আজমীর হোসেন তালুকদার জানান, “বিএমএসএফ সর্বদাই নির্যাতিত সাংবাদিকদের পাশে ছিল এবং বর্তমানেও আছে। সাংবাদিক নির্যাতনকারী, চাঁদাবাজ ও অপসাংবাদিকদের একটি তালিকা ডিআইজি ও র্যাব সিইও বরাবর আজ (রবিবার) জমা দেয়া হয়েছে। দ্বিতীয় পর্যায়ের তালিকা যাচাই-বাচাই করে শীর্ঘই প্রশাসনের কাছে জমা দেয়া হবে।
ঝালকাঠি রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি এসএম রাজ্জাক পিন্টু জানান, কাঠপট্রি নিবাসী মোঃডালিম খলিফা হত্যা ও বিষ্ফোরক মামলার আসামী, চাঁদাবাজ ও অপসাংবাদিকদের তালিকা প্রশাসনের শীর্ষ পর্যায়ে আজ জমা দেয়া হয়েছে। তালিকাভুক্ত এ সকল অপসাংবাদিক জামায়াত- শিবির ও বিএনপি’র এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য সাংবাকিতার ঢাল ব্যবহার করে স্বাধীনতার স্বপক্ষের এবং সরকার দলীয় সাংবাদিকদের মামলা, হামলা, নির্যাতন করে ও
অপবাদ দেয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। তাই আমরা তাদের তালিকা প্রনয়ণ করে বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি ও র্যার-৮ এর সিইও বরাবর জমা প্রদান করেছি। দ্বিতীয় তালিকা যাচাই-বাচাই করে প্রশাসনের কাছে জমা দেয়া হবে।তিনি আরো বলেন, ঝালকাঠির সুশীল সমাজ এদেরকে বয়কট করে প্রকৃত সাংবাদিকতার পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে সহায়তা করবেন।
কাঠালিয়া প্রেসক্লাব(বাদল) ও বরিশাল সাংবাদিক কল্যাণ পরিষদের সভাপতি এইচ এম বাদল হাওলাদার জানান, “অপসাংবাদিক, সাংবাদিক নির্যাতনকারী ও চাঁদাবাজ সাংবাদিকদের তালিকা প্রণয়ন করে প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তার কাছে আমরা সম্মিলিতভাবে ৪টি সংগঠন জমা দিয়েছি। আশা করি প্রশাসন এদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন করবেন। এবং সাংবাদিকদের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ ফিরিয়ে আনবেন।